Blueberries: প্রতিদিন ব্লুবেরি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
শুধু ওষুধের মাধ্যমেই যে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, এমনটা নয়। এর সঙ্গে আপনাকে জীবনধারাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
প্রতি বছর ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা বিশ্ব জুড়ে বেড়ে চলেছে। ডায়বেটিসের যতগুলো প্রকার আছে সেই সবগুলোতেই ইনসুলিন উৎপাদনের ক্ষমতা বা প্রতিক্রিয়া থেকেই শরীরের অক্ষমতা বোঝা যায়। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত একটি হরমোন যা চিনিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তিতে রূপান্তর করে। ইনসুলিনের নিঃসরণ ডায়বেটিসের কারণে ব্যাহত হয়। টাইপ-১ ডায়বেটিস, টাইপ-২ ডায়বেটিস বা গর্ভকালীন ডায়বেটিস এই প্রত্যেকটার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
ওষুধের মাধ্যমে এই ডায়বেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যতালিকার ওপরও বিশেষ নজর দিতে বলেন। শুধু ওষুধের মাধ্যমেই যে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, এমনটা নয়। এর সঙ্গে আপনাকে জীবনধারাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, অত্যধিক পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, অনিদ্রা ডায়বেটিসের ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রেস ফুড গ্রুপ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যদিও নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এমন একটি ফলের উল্লেখ করা হয়েছে যা শুধু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, বরং ডায়বেটিসকে প্রথম থেকে প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। আপনি জানলে অবাক হবেন, এই ফল ইউটিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করে। আর এই ফলটির নাম হল ব্লুবেরি।
ব্লুবেরির মধ্যে প্রচুর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যান্সার প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে। স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ব্লুবেরিকে পাওয়ার হাউস বললেও ভুল হবে না। এখন একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ব্লুবেরি মানব দেহে ডায়বেটিসের ঝুঁকিকেও প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।
কিন্তু ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে ব্লুবেরি কতটা কার্যকরী তা জানা জন্য ব্লুবেরিকে তিনটি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম বিভাগের অংশগ্রহণকারীরা পাউরুটির একটি স্লাইস দিয়ে ব্লুবেরি খাবে। দ্বিতীয় বিভাগে, ১৫০ গ্রাম ব্লুবেরি ছয় দিন খাবে এবং সপ্তম দিনে পাউরুটির সঙ্গে খাবে। শেষ বিভাগের অংশগ্রহণকারীরা শুধু পাউরুটি খাবে, কোনও ব্লুবেরি খাবে না।
এই পর্যবেক্ষণটি করার পর অংশগ্রহণকারীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে দেখা যায় যে যাঁরা পাউরুটির সঙ্গে ব্লুবেরি খেয়েছিল তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কম। এর অর্থ হল কার্বস গ্রহণের পর ব্লুবেরি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
তবে এমনটা নয় যে শুধু ব্লুবেরি ডায়বেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ব্লুবেরি ছাড়াও এমন কিছু ফল রয়েছে যা আপনি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এর মধ্যে রয়েছে কিউই, ন্যাসপাতি, প্লাম, পিচ, গ্র্যাপফ্রুট, আপেল, চেরি ইত্যাদি, এমনকি ব্লুবেরি ছাড়াও অন্যান্য যে সব বেরি রয়েছে, অর্থাৎ স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি ফলও ডায়বেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন? আপনার খাদ্যতালিকা কেমন হবে, পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক