Diabetes Symptoms: কন্ট্রোলে নেই ডায়াবেটিস? এই অঙ্গগুলির চরম ক্ষতি হচ্ছে গোপনে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…

Diabetes Symptoms: অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব এবং চোখ চুলকোনো কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। এড়িয়ে যাবেন না, সচেতন হন এখনই...

Diabetes Symptoms: কন্ট্রোলে নেই ডায়াবেটিস? এই অঙ্গগুলির চরম ক্ষতি হচ্ছে  গোপনে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা...
৬ মাস অন্তর সুগার পরীক্ষা করা জরুরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 6:24 PM

Type 2 Diabetes: বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের নিরিখে পশ্চিমের দেশগুলি এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে নেই ভারত। ২০১৯ সালে ভারতে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ কোটি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান ২০৪৫ সালের মধ্যে তা ১৪ কোটিতে পৌঁছে যাবে। এর জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা এবং সচেতনতার বোধ। গ্রামের দিকে এখন অনেকেই মানতে পারেন না যে তাঁরও ডায়াবিটিস থাকতে পারে। নিয়ম মাফিক পরীক্ষা করান না বহু মানুষ। এদিকে খাওয়ার ব্যাপারেও কিন্তু কোনও কমতি নেই। আইসক্রিম, চকোলেট, মিষ্টি, কোল্ডড্রিংক থেকে শুরু করে চাপ, কাটলেট, চাউমিন-মনের সুখে খাওয়া-দাওয়া করছেন। ফাস্ট ফুডের দোকান সর্বত্র যে ভাবে বাড়ছে তাতেই প্রমাণ মেলে কী ভাবে মানু। আসক্ত হয়ে পড়ছেন এই সব খাবারে। সময়ে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কিন্তু খুবই বিপদ। গোপনে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হয়ে যায়। যা আমাদের সাধারণ চোখে ধরাও পড়ে না।

আর চিকিৎসকরা বলছেন এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে মানুষকেই। নিয়মিত ভাবে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা, কোলেস্টেরল , ট্রাইগ্লিসারাইড পরীক্ষা করা আবশ্যক। জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণেই বাড়ছে ব্লাড সুগার। অত্যধিক মাত্রায় ফাস্টফুড, নুন-চিনি বেশি খাওয়া, পছন্দের তালিকায় ফ্রোজেন ফুডের সংযোজন এগুলোই কিন্তু অন্যতম কারণ। ডায়াবিটিসে গোপনে শরীরের যে সব অঙ্গের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়-

হার্ট- জীবনযাত্রায় পরিবর্তন প্রভাব ফেলে আমাদের হৃদযন্ত্রেও। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ শরীরে বাসা বাধলে রক্তনালীর প্রদাহ হয়। যেখান থেকে হার্ট অ্যটাক, হার্ট ফেলিওয়ের মত সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী আঘাত  আসতে পারে মস্তিষ্কেও। রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহ বাধা পেলে সেখান থেকে হতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের মত সমস্যা। আর তাই আগেভাগেই সাবধানে থাকুন। মদ্যপান, ধূমপান এসব প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলুন।

কিডনির সমস্যা- সুগারে কিন্তু কিডনির সমস্যাই সবচাইতে বেশি হয়। কিডনিতে স্টোন বা ইউরিন ইনফেকশন সুগারের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ ঘটনা। সুগার বাড়লেই তাই চাপ পড়ে কিডনিতে। এছাড়াও প্রস্রাবের মাধ্যমে তখন অতিরিক্ত প্রোটিন বাইরে বেরিয়ে আসে। আর তাই সুগার যদি হাই থাকে এবং সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যা হয় তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হন। তবেই কিন্তু বিপদ এড়াতে পারবেন। নইলে থেকে যাবে কিডনি বিকল হবার প্রবল সম্ভাবনা।

চোখের সমস্যা- সুগারের সঙ্গে যোগ রয়েছে চোখের সমস্যারও। যে কারণে হাই ব্লাড সুগারের রোগীদের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়। এমনকী গ্লুকোমা হবার সম্ভাবনাও থাকে প্রবল। অনেকের ক্ষেত্রে রেটিনাতে জল জমার মত সমস্যাও হয়ে থাকে। তাই সুগার থাকলে বছরে অন্তত একবার সুগার পরীক্ষা করে নেওয়া খুবই জরুরি।

যা কিছু মেনে চলবেন আপনি- 

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। নিজের চিকিৎসা নিজে করবেন না। সময়মতো ওষুধ খান। ওষুধের মাত্রা কমাতে বা বাড়াতে হলে তা চিকিৎসকই আপনাকে বলে দেবে। শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকা কিন্তু রোগ নিরাময়ের উপায় নয়। ৩-৬ মাস অন্তর সুগার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Junk Food: বিকাল হলেই মনটা চাউমিন-এগরোল করে উঠছে! ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে না তো?