Hyperkalemia: কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে তৈরি হয়ে পারে হাইপারক্যালেমিয়া! জেনে নিন এই রোগ সম্পর্কে
পটাসিয়াম আপনার স্নায়ু এবং পেশী সহ আপনার হৃদযন্ত্রকে সঠিক উপায়ে কাজ করতে সহায়তা করে। তবে আপনার রক্তে অত্যধিক পরিমাণে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
হাইপারক্যালেমিয়া হচ্ছে এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে শক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। আপনার শরীরের পটাসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা আমরা খাবারে মাধ্যমে শরীরে গ্রহণ করি। পটাসিয়াম আপনার স্নায়ু এবং পেশী সহ আপনার হৃদযন্ত্রকে সঠিক উপায়ে কাজ করতে সহায়তা করে। তবে আপনার রক্তে অত্যধিক পরিমাণে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। এটি হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দ বজায় রাখার জন্য রক্তে পটাসিয়ামের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি যখন রক্তে এই পটাশিয়ামের মাত্রা উঠানামা করে, বিপদ তখনই ঘটে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তাকে হাইপোক্যালেমিয়া বলে এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে হাইপারক্যালেমিয়া বলে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল হাইপারক্যালেমিয়ার সেই অর্থে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে অনেকের মধ্যে বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, পেশীর দুর্বলতার মত একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে, হাইপারক্যালেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ দায়ী, যেগুলি হল-
১) কিডনির সমস্যা। আপনার কিডনি ভাল ভাবে কাজ না করলে হাইপারক্যালেমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে পটাশিয়াম নির্গত হয়ে যায়। আপনার কিডনিতে সমস্যা থাকলে, তখন প্রস্রাব ত্যাগেও সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম নির্গত হতে পারে না এবং হাইপারক্যালেমিয়ার সমস্যা তৈরি হয়। কিডনি সমস্যার প্রথমের দিকেও উচ্চ পটাশিয়ামের সমস্যা খুব বেশি শরীরকে প্রভাবিত করে না। কিন্তু যত বেশি কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, হাইপারক্যালেমিয়ার সমস্যা বাড়তে শুরু করে।
২) আমরা মূলত খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে পটাশিয়াম গ্রহণ করি। বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে যে সব ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত তাদের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। তরমুজ, কলা, কমলালেবু এই সব ধরনের ফলে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি রয়েছে।
হাইপারক্যালেমিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিকাল প্রভাবটি হৃদযন্ত্রের ছন্দের সুঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও মৃদু হাইপারক্যালেমিয়া সম্ভবত হৃদযন্ত্রের উপর সীমিত প্রভাব ফেলে এবং মাঝারি হাইপারকালেমিয়া ইকেজি পরিবর্তন করতে পারে। ইকেজি হল হৃদযন্ত্রের পেশীর বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপের একটি পঠন। গুরুতর হাইপারক্যালেমিয়া হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ দমন করতে পারে এবং হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ করতে পারে।
হাইপারক্যালেমিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হল স্কেলিটন পেশীগুলির কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করে। সুতরাং হাইপারক্যালেমিয়ার হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে গেলে কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে এবং তার সঙ্গে ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে।
আরও পড়ুন: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান? আজ থেকে পান করা শুরু করুন এই সবজি ও ফলের রস