কম বেশি আমরা সকলেই মুখরোচক খাবার খেতে খুব পছন্দ করি। চপ হোক কিংবা পকোড়া, পিৎজা, বার্গার, পাস্তা, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, কোল্ড ড্রিঙ্কস এই ধরনের খাবারের নাম শুনলেই খিদে যেন বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। আর চোখের সামনে এগুলো দেখলে লোভ সামলানোও কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা কিন্তু সকলেই জানি যে, অত্যধিক জাঙ্ক ফুড খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু তাও আমরা নিজেদেরকে সামলে রাখতে পারি না। বাইরে বেরোলেই মনে হয় এটা-সেটা খাই। কিন্তু স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে জাঙ্ক ফুড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতেই হবে। জাঙ্ক ফুডের লোভ কমানোর কিছু বিশেষ উপায় আছে। সেগুলো মেনে চললেই নিজেকে আরও অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।
১) নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। জল তেষ্টাকে অনেকেই খিদে পাওয়ার অনুভূতি ভেবে ভুল করেন। কারণ খিদের অনুভুতি আর তেষ্টার অনুভূতি দুটোই আমাদের শরীরে প্রায় একই রকম সংবেদন সৃষ্টি করে। তাই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার লালসা কমাতে চাইলে, সারাদিন হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন।
২) দুটি মিলের মধ্যেকার ব্যবধান যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে অনেক সময়ই অতিরিক্ত খিদে পেতে পারে। তাই পেট ভরা রাখতে, খাবারের মধ্যেকার সময়ে কিছু হালকা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খাওয়ার চেষ্টা করুন, যেমন – আমন্ড, আখরোট কিংবা ফল। সারাদিনে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া হলে, পেটও ভরা থাকে আর ক্রমাগত হওয়া খিদের অনুভূতিও কমে যায়।
৩) খাবার সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাবার খাওয়ার সময় সঠিকভাবে চিবিয়ে খেলে, এটি খিদের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া খাবার ভাল ভাবে চিবিয়ে খাওয়া হলে, এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে এবং খাওয়ার লোভ কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণা অনুযায়ী, চুইংগাম খিদে এবং খাওয়ার লোভ কমাতে পারে।
৪) মিল কখনও এড়িয়ে যাবেন না। আপনার যদি খাবারের সময়, খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান, তাহলে আপনার মনে জাঙ্ক ফুড কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি লোভ বাড়তে পারে। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকা, আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৫) খাদ্যতালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে, এটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার লোভ কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় প্রোটিন হজম হতে বেশি সময় নেয়। আর সেই কারণেই এটি অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরাৎ রাখতেও সাহায্য করে।
৬) মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। বর্তমান যুগে মানসিক চাপ, জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এই মানসিক চাপ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়ার পাশাপাশি, যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: Calcium: দুধ খেতে অপছন্দ? দুধ ছাড়াও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে এই ৪টি খাবারে
আরও পড়ুন: Post-Diwali Detox Tips: জিমে গিয়ে ঘাম আর ঝরাতে হবে না! পোস্ট-দিওয়ালি ডিটক্স টিপসেই হবে কেল্লাফতে!