Post-Diwali Detox Tips: জিমে গিয়ে ঘাম আর ঝরাতে হবে না! পোস্ট-দিওয়ালি ডিটক্স টিপসেই হবে কেল্লাফতে!

উত্‍সব পরবর্তী সময়ে ডিটক্স করার কিছু সহজ উপায় রয়েছে। জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়ে ক্যালোরিবার্ন করতে ২টি রেসিপি ও কিছু টিপস শেয়ার করা হল...

Post-Diwali Detox Tips: জিমে গিয়ে ঘাম আর ঝরাতে হবে না! পোস্ট-দিওয়ালি ডিটক্স টিপসেই হবে কেল্লাফতে!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Nov 06, 2021 | 8:10 PM

দীপাবলি আসলে আলো ও ভালবাসার উত্‍সব। এই এমন একটি দিন, যেখানে মানুষ বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ও ভাল ভাল সুস্বাদু খাবার খাওয়া হয়। উত্‍সবের দিনগুলিতে রোজকার দিনে খাবারের থেকে যে আলাদা হবে তা বলাই বাহুল্য। রান্নাঘরে বা ডাইনিং টেবিলে যদি লাড্ডু, জিলেপি, চিকেনের নানান স্পাইসি পদ, মাটনের সুস্বাদু সব পদ চোখের সামনে থাকলে তা কী আর ঠেকানো সম্ভব! উত্‍সবের মধ্যে সেইসব খাবার মন চাইতেই খেয়ে ফেলেছেন। উত্‍সব শেষ হতেই ক্যালোরিবার্ন করতে জিমে ঘাম ঝরাতে হয়।

উত্‍সব পরবর্তী সময়ে ডিটক্স করার কিছু সহজ উপায় রয়েছে। জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়ে ক্যালোরিবার্ন করতে ২টি রেসিপি ও কিছু টিপস শেয়ার করা হল…

লেবু ও পুদিনা পাতার সঙ্গে নারকেল জল

উপাদান

নারকেল, পুদিনাপাতা, ১ চা চামচ মধু, ১টি লেবু

পদ্ধতি

নারকেলের শাঁস মিহি করে বেটে নারকেলের জলের সঙ্গে মেশান। এবার তাতে পুদিনা পাতা, লেুবর রস, মধু যো করে ভাল করে মিশিয়ে নিন। উপাদানগুলি এবার একটি ব্লেন্ডারে ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

গাজর ও বিটরুটের ডিটক্স ওয়াটার

উপকরণ

১টি স্লাইস করা গাজর, ১টি স্লাইস বা কিউব করে কাটা বিটরুট, দারচিনি. লেবুর রস, জল

কীভাবে করবেন

একটি বোতলে স্লাইস করা দারচিনির স্টিক, গাজর ও বিটরুট নিন। এবার তাতে দল ও লেবুর রস যোগ করুন। প্রতিটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একঘণ্টা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। ডিটক্স ওয়াটার এবার পরিবেশন করতে পারেন।

ডিটক্সিফিকেশন জন্য টিপস

প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন- ওজন কমানোর জন্যই হোক, ত্বকের ডিহাইড্রেশন, পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রতিদিন ৬ গ্লাস করে জল পান করা উচিত। তাতে সারাদিন সতেজ ও হাইড্রেট থাকবেন আপনি।

হার্বাল চা পান করুন- নিয়মিত চায়ের তুলনা. লেবু চা, জিরা-মৌরি জল, আদা চা, মশলা চা, দারচিনির চা ইত্যাদি চা বেছে নিতে পারেন। তাতে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করতে পারে। এতে হজম ক্ষমতা, গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করুন- ডিটক্সিফিকেশন মানে শুধু শরীরকে সতেজ রাখা। তাই যোগা ও ব্যায়ামের মাধ্যমেই দিন শুরু করুন। প্রতিদিন খালি পেয়ে সকালে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, পাঁচবার সূর্য প্রণাম করতে পারেন, তাহলে আপনি নতুন করে প্রতিদিন শুরু করুন।

সবজি ও ফাইবার-যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন- শাকসবজি, বিশেষ করে পালং শাক, কালে, ব্রকোলি, স্প্রাউট ইত্যাদির পরিমাণ বেশি করে খেতে পারেন। এছাড়া মটরশুটি, বেরিজ, অ্যাভোকাডো, গোটা শস্য, শুকনো ফল ইত্যাদি খাওয়া শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সহায়ক। তাতে লিভার ও কিডনির স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

খাদ্যাভ্যাস- একজন ব্যক্তি যদি খাওয়া এবং ঘুমের সময়মত রুটিন অনুসরণ করেন, তাহলে তার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সূর্যাস্তের আগে খান, অথবা ঘুমানোর চার ঘণ্টা আগে দিনের শেষ খাবার খান।

সঠিক ঘুম- ভালো ঘুম মস্তিষ্ককে সজীব ও শক্তি জোগায়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মোট ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: Winter Season: মরসুমি ফল-সবজি খাওয়া উচিত, চিকিত্‍সকদের এই পরামর্শ কতটা যুক্তিযুক্ত?