AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Asthma Day: অ্যাস্থেমাকে কী করে হারাবেন? বিশ্ব হাঁপানি দিবসে জানালেন পালমোনোলজিস্ট অরূপ হালদার

World Asthma Day: হাঁপানির সমস্যার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার পালন করা হয় ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থেমা ডে বা বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এই দিনে মানুষের মধ্যে এই রোগের বিষয়ে আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন করে তুলতে কী বললেন সিএমআরআই হাসপাতালের প্রখ্যাত পালমোনলজিস্ট চিকিৎসক অরূপ হালদার?

World Asthma Day: অ্যাস্থেমাকে কী করে হারাবেন? বিশ্ব হাঁপানি দিবসে জানালেন পালমোনোলজিস্ট অরূপ হালদার
Image Credit: Getty Images
| Updated on: May 05, 2025 | 7:58 PM
Share

অ্যাস্থেমা বা হাঁপানিকে সাধারণ রোগ ভাবাটা ভুল। বিশেষ করে আজ আমরা যে ধরনের পরিবেশে বসবাস করি, সেই দূষিত পরিবেশে এই সমস্যা কম বেশি প্রায় সকলের মধ্যেই বিদ্যমান। তাই হাঁপানির সমস্যার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার পালন করা হয় ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থেমা ডে বা বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এই দিনে মানুষের মধ্যে এই রোগের বিষয়ে আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন করে তুলতে কী বললেন সিএমআরআই হাসপাতালের প্রখ্যাত পালমোনলজিস্ট চিকিৎসক অরূপ হালদার?

অরূপ বাবু বলছেন, “অ্যাজমার মতো ফুসফুসজনিত সমস্যাগুলোকে আমরা কেবলমাত্র শারীরিক সমস্যা বলে ভাবলে ভুল করব। একজন মানুষন কোন পরিবেশে বসবাস করছেন এই সমস্যা তারই প্রতিফলন। প্রতিদিন আমরা লক্ষ করি বাচ্চা থেকে বুড়ো কত লোক শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছে। চারপাশের বিষাক্ত বায়ুর কারণে ঘটছে এমনটা।”

বাতাসে উপস্থিত কোন কোন উপাদান ডেকে আনে বিপদ?

অরূপবাবু বলেন, “PM 2.5, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং ওজোন গ্যাস নীরবে ক্ষতি করে। যা ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করে, অ্যাজমার উপসর্গ বাড়িয়ে দেয় এবং এমনকি ফুসফুসে চিরস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো কোনও দূরবর্তী বা কাল্পনিক সমস্যা নয়। এই সব উপাদান আমাদের আশেপাশেই রয়েছে এবং ক্ষতি করছে।”

চিকিৎসক জানান, বিশ্ব অ্যাস্থেমা দিবস কেবলমাত্র ক্যালেন্ডারে একটি দিন নয়। এটি একটি বিশ্বব্যাপী আহ্বান। আমাদের নতুনভাবে ভাবতে হবে। সমাজের প্রতি অরূপবাবুর আহ্বান, আমরা কোন গাড়ি চালাই, কোন ধরনের শিল্পকারখানা চালু রাখছি এই সব বিষয়ে আরও ভালভাবে ভাবতে হবে।

তাঁর কথায়, নীতি নির্ধারকদের উচিত আরও গাড়ি ধোঁয়া নির্গমনের মানদণ্ডের বিষয়ে আরও কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা। সবুজ বাড়িয়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পরিষ্কার পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টিতেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবেও আমাদের আরও বেশি কিছু করা উচিত। সচেতনতা ছড়ানো, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা, ইনহেলার সহজলভ্য করা এবং পরিষ্কার বাতাসের পক্ষে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।