joint lubrication: উঠতে-বসতে হাঁটুতে ব্যথা, কটকট আওয়াজ হচ্ছে? এই সবজিগুলো পাতে রাখলে ৪ সপ্তাহেই মিলবে ফল!
Joint Pain: জয়েন্টের ব্যথা আগে বুড়োবয়সে আসলেও এখন ছোট থেকে বড় সকলেই ভুগছে এই একই সমস্যায়
হাঁটুর ব্যথায় এখন সকলেই ভুগছেন। বসতে গিয়ে সমস্যা, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে সমস্যা, সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে হাঁটুর ব্যথা তো আছেই। হাঁটুর ব্যথার মূল কারণ কিন্তু হল হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং জয়েন্টের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী লুব্রিকেন্ট শুকিয়ে যাওয়া। আর এই লুব্রিকেন্ট শুকিয়ে গেলে তখনই হাঁটতে সমস্যা হয়। হাড়ের জয়েন্ডগুলোতে একটি তরল থাকে। এই তরল থাকার ফলেই হাড়গুলি একে অন্যের সঙ্গে লেগে থাকে না। একে তরুণাস্থি বা সাইনোভিয়াম বলে। আর এই তরুণাস্থির কারণেই হাঁটু ঠিকমতো ভাঁজ হয়। এই জেল শুকিয়ে গেলেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি।
জয়েন্টের ব্যথা আগে বুড়োবয়সে আসলেও এখন ছোট থেকে বড় সকলেই ভুগছে এই একই সমস্যায়। একটানা বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, অতিরিক্ত পরিমাণ মশলাদার খাবার খেলে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে তার প্রভাব পড়ে জয়েন্টের উপর। বার্ধক্য, হঠাৎ করে হাঁটুতে আঘাত পেলে কিংবা অতিরিক্ত ওজন তুললে তখন তরুণাস্থির ক্ষতি হতে পারে। আর সেই প্রভাব পড়ে জয়েন্টেও। পরবর্তীতে এখান থেকেই আসে আর্থ্রাইটিসের মত সমস্যাও। হাঁটুর ব্যথা যাদের রয়েছে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই যা কিছু অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে তা হল-
বাঁধাকপি- বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়ামও পাওয়া যায় বাঁধাকপি থেকে। ফলে জয়েন্টের ব্যথা থাকে না এবং হাড় থাকে মজবুত।
ক্যাপসিকাম- শরীর ভাল রাখতে একাধিক ভূমিকা রয়েছে ক্যাপসিকামের। বিশেষত লাল ক্যাপসিকাম হল সবচাইতে ভাল। এর মধ্যে ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকে সবচাইতে বেশি। যা আমাদের শরীরেব কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে লিগামেন্টের অংশগুলো নরম রাখতে সাহায্য করে।
রসুন এবং পেঁয়াজ- রসুন এবং পেঁয়াজ আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। NCBI-এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই দুই সবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সালফার। যা ব্যথা এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যা জয়েন্টগুলোকে নমনীয় রাখে। ব্যথা দূর করে দেয়। কাঁচা পেঁয়াজ এবং কাঁচা রসুনের উপকারিতাই সবচাইতে বেশি।
আদা- আদাও ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। আদা দিয়ে চা বা স্যুপ বানিয়ে খেলেও এই ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
মটরশুঁটি- মটরশুঁটির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভিনয়েড। আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। আর তাই নিয়ম করে মটরশুঁটি অবশ্যই রাখুন রোজকারের ডায়েটে।