AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Triglycerides: লিপিড টেস্টে ট্রাইগ্লিসারাইড ধরা পড়েছে? ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাসে ভরসা রাখুন

Cholesterol: সাধারণত শরীরের ওজন অস্বাভাবিক বাড়তে শুরু করলেই ট্রাইগ্লিসারাইডসের পরিমাণও হু-হু করতে বাড়তে থাকে।

Triglycerides: লিপিড টেস্টে ট্রাইগ্লিসারাইড ধরা পড়েছে? ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাসে ভরসা রাখুন
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 12:12 PM
Share

বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে চিন্তিত কম-বেশি অনেকেই। কিন্তু লিপিড পরীক্ষায় করায় সামনে এলো ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা। সাধারণত শরীরের ওজন অস্বাভাবিক বাড়তে শুরু করলেই ট্রাইগ্লিসারাইডসের পরিমাণও হু-হু করতে বাড়তে থাকে। মধ্যপ্রদেশ ভারী হতে শুরু করলেই দেখা যায় রক্তে বেড়ে গিয়েছে ট্রাইগ্লিসারাইডসও। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই কোনওভাবেই উপেক্ষা করবেন না বেড়ে যাওয়া ট্রাইগ্লিসারাইডসকে। অন্যদিকে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, ধূমপান, অ্যালকোহল, শরীরচর্চায় অনীহা, মানসিক চাপ, ডায়াবিটিস, কিডনির অসুখ ইত্যাদি ট্রাইগ্লিসারাইডস মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার পিছনে বিশেষভাবে দায়ী। তাহলে কীভাবে খেয়াল রাখবেন নিজের?

চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলেই যে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে, এমনটা নয়। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে তখন তা লিভারে গিয়ে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে। এই কার্বোহাইড্রেট খাবারের মধ্যে ভাত, আলুর মতো অতিসাধারণ খাবারও রয়েছে। আবার এর সঙ্গে যদি কফি, মদ্যপান করেন তাহলেও বেড়ে যায় ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা। যেহেতু লাইফস্টাইলের কারণেই বেড়ে যায় ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা, তাই জীবনধারা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আপনি একে বশে আনতে পারবেন।

প্রথমত, খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। সীমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করতে হবে। বাইরের অতিরিক্ত তেলে ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। চর্বি ও তেল জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। রেড মিটের প্রতি ভালবাসা কমাতেই হবে। তা না হলে কখনওই বাগে আনতে পারবেন না ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা। এর পাশাপাশি কেক, পেস্ট্রি, চিজ, বেশি পরিমাণ ঘি-মাখন, অতিরিক্ত ডিমের কুসুমও এড়িয়ে চলতে হবে। মাছ খেলেও পরিমাণে কম খান এবং চর্বিযুক্ত মাছ এড়িয়ে চলুন। মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করতে দিতে হবে।

ছোলা, শাকসব্জি, ওটস, ব্রাউন রাইস, মল্টিগ্রেন ব্রেডসের মতো খাবার খেতে পারেন। ব্রকোলির মতো সবজি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা। মরসুমি ফল অবশ্যই খাবেন। সীমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করবেন ঠিকই, এর জন্য পাতে রাখবেন গমের আটা, ভুট্টা, ওটস বা এ ধরনের খাবার। তবে দিনে ৩৫ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট একদম খাবেন না। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মুরগির মাংস খেতে পারেন। পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ ট্রাইগ্লিসারাইড রোগীদের জন্য ভাল। তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আর পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি, পুদিনা পাতার মতো ভেষজ অবশ্যই খাবেন। এতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা।

তবে শুধু ডায়েটের উপর নজর দিলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। পাশাপাশি আপনাকে শরীরচর্চা করে যেতে হবে। এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। একই সঙ্গে আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে হবে। নাহলে কোনওদিনও বশে আনতে পারবেন না ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাকে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।