AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Joint Pain: শীত পড়ার আগেই গাঁটের ব্যথা? পাতে রাখুন এই ৫ সুপারফুড, মুক্তি মিলবে কষ্ট থেকে

শীতকালের আগে গাঁটের ব্যথা বাড়া একটি স্বাভাবিক সমস্যা। কিন্তু সঠিক খাদ্যাভ্যাস একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। প্রদাহ-বিরোধী খাবার পাতে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বজায় রাখা— এই তিনটি বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিতে হবে।

Joint Pain: শীত পড়ার আগেই গাঁটের ব্যথা? পাতে রাখুন এই ৫ সুপারফুড, মুক্তি মিলবে কষ্ট থেকে
শীত পড়ার আগেই গাঁটের ব্যথা? পাতে রাখুন এই ৫ সুপারফুডImage Credit: Pinterest
| Updated on: Oct 26, 2025 | 10:54 AM
Share

ক্যালেন্ডার বলছে এখনও শীতের আগমন ঘটেনি, কিন্তু ভোরের আবহাওয়া এবং রাতের পারদ পতন জানান দিচ্ছে ঋতু পরিবর্তনের বার্তা। আর এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি টের পান যাঁরা দীর্ঘদিনের গাঁটের বা বাতের ব্যথায় ভোগেন। ঠান্ডা বাড়ার আগেই হাঁটু, কোমর বা আঙুলের গাঁটে জট পাকাতে শুরু করে ব্যথা ও জড়তা। তাই শীত আসার আগে বেশ কিছু খাবার পাতে রাখলে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জয়েন্টের ভেতরের তরল ঘন হয়ে যায় এবং পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে এবং ব্যথা বাড়ে। তবে এই ব্যথা কমানোর জন্য কেবল গরম পোশাক বা সেঁকই যথেষ্ট নয়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাও হতে পারে শক্তিশালী প্রতিষেধক।

জেনে নেওয়া যাক শীত আসার আগেই কোন কোন খাবার পাতে রাখলে গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে:

১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ

গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যা ব্যথার মূল কারণ।

কোন খাবার খাবেন? স্যামন, টুনা, সার্ডিন বা কমবেশি সকলের পরিচিত ইলিশ, রুই ও কাতলা মাছের তেল। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই ধরনের মাছ পাতে রাখুন। যাঁরা মাছ খান না, তাঁরা আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্স সিডস খেতে পারেন।

২. হলুদ ও আদা (প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী মশলা)

ভারতীয় রান্নাঘরের এই দুই পরিচিত মশলা আসলে প্রাকৃতিক বেদনানাশক। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ সমৃদ্ধ। এটি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খান। আর আদার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ব্যথার জন্য দায়ী এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা কমাতে সাহায্য করে। আদা চা পান করতে পারেন, বা রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা ব্যবহার করুন।

৩. ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়। ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। এর ঘাটতি হলে হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা বাড়ে।

কোন খাবার খাবেন? ভিটামিন ডি – ডিমের কুসুম, ফ্যাটি মাছ, ফর্টিফায়েড দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম – দই, পনির, ছানা এবং সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি (যেমন বাঁধাকপি, ব্রকোলি) হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

৪. রঙিন ফল ও শাকসবজি (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট)

রঙিন ফল ও সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং গাঁটের প্রদাহ কমায়।

কোন খাবার খাবেন? সবজি – ব্রকোলি, পালংশাক, বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম, মিষ্টি আলু (যা ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের ভাল উৎস)। ফল -চেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি (এগুলো বিশেষভাবে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে), কমলালেবু ও মুসাম্বির মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল।

৫. অলিভ অয়েল

এই স্বাস্থ্যকর তেলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং একটি উপাদান যার নাম ওলিওক্যান্থাল, যা ব্যথানাশক ওষুধের মতো কাজ করে। রান্নায় বা স্যালাডে অন্য তেলের পরিবর্তে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।

শীতকালের আগে গাঁটের ব্যথা বাড়া একটি স্বাভাবিক সমস্যা। কিন্তু সঠিক খাদ্যাভ্যাস একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। প্রদাহ-বিরোধী খাবার পাতে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বজায় রাখা— এই তিনটি বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিলেই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে যে কেউ অনায়াসে পার করতে পারবেন। তবে যদি ব্যথা তীব্র হয়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।