High Cholesterol: ডায়েট চার্টের দরকার নেই, রোজ এই ৪ খাবার খেলেই গলে যাবে নোংরা কোলেস্টেরল
Diet for Cholesterol: হাই কোলেস্টেরল ভয় ধরায়। তাই রোগ ধরা পড়লে ওষুধ খেতেই হবে আপনাকে। আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা জরুরি। বশে রাখতে হবে মানসিক চাপকেও। তার সঙ্গে রোজকার খাবারের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। সাধারণত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হয় কোলেস্টেরলে।
রক্তে থাকা এক ধরনের মোম জাতীয় পদার্থ কোলেস্টেরল। তবে, এটি উৎপন্ন হয় লিভার থেকে। যে কারণে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়ে। আর তখনই শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাছাড়া হঠাৎ করে স্নায়ু অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ে খিঁচুনি ধরা, একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, বুকে চাপ লাগার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়। দিনের পর দিন এসব শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে কারওই ভাল লাগে না। আর কোলেস্টেরল অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়লে হার্ট অ্যাটাকও হয়ে যেতে পারে আপনার।
হাই কোলেস্টেরল ভয় ধরায়। তাই রোগ ধরা পড়লে ওষুধ খেতেই হবে আপনাকে। আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা জরুরি। বশে রাখতে হবে মানসিক চাপকেও। তার সঙ্গে রোজকার খাবারের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। সাধারণত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হয় কোলেস্টেরলে। যত বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তবে, এমন ৪টি খাবার রয়েছে, যা কোনওভাবেই বাদ দেওয়া চলবে না।
আপেল: কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায় আপেল খেয়ে। আপেলের মধ্যে পেকটিন নামের একটি ফাইবার রয়েছে, যা রক্ত থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শোষণে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপকারী।
আমন্ড: রোজ সকালে খালি পেটে ৬-৮টা ভেজানো আমন্ড খান। আমন্ডের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আমন্ডের পাশাপাশি আপনি আখরোটও খেতে পারেন। এতেও কোলেস্টেরল মাত্রা কমবে।
ওটস: ওটসের মধ্যে বিটা-গ্লুকান নামের ফাইবার রয়েছে। এই এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার, তিন বেলায় আপনি ওটসের বিভিন্ন পদ বানিয়ে খেতে পারেন।
চিয়া সিড: সকালে খালি পেটে চিয়া সিড ভেজানো জল পান করুন। এতে লেবুর রসও মেশাতে পারেন। চিয়া সিডের মধ্যে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজনকে বশে রাখতেও সাহায্য করে।