IPL 2025 Big News: ধোনিকে রাখতে পারবে CSK? আইপিএল নিয়ে নানা তথ্য ঘোষণা করল বোর্ড…
IPL 2025, Retention Policy: রিটেনশনের ক্ষেত্রে কত টাকা যাবে পার্স থেকে? যদি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঁচজন প্লেয়ার রিটেন করে তা হলে প্রথম তিন জনের জন্য যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি এবং ১১ কোটি পার্স থেকে কাটা যাবে। বাকি দু-জনের জন্য ১৮ এবং ১৪ কোটি। অর্থাৎ কোনও টিম যদি পাঁচ জন প্লেয়ারকে রিটেন করে ১২০ কোটির পার্স থেকে ৭৫ কোটি এখানেই চলে যাবে!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের রিটেনশন পলিসি নিয়ে আর কোনও সূত্রের খবর কিংবা সম্ভাবনা নয়। এ বার সরকারি ভাবে বোর্ডের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হল। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণায় সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত হতে পারেন চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকরা। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে রিটেন করতে আর কোনও সমস্যা রইল না। এ বার ধোনির উপরই নির্ভর করছে তিনি আগামী আইপিএলে খেলবেন কিনা। তাঁকে রিটেন করা যেতে পারে, আবার আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবেও নেওয়া যেতে পারে।
আইপিএল নিয়ে কী কী সিদ্ধান্ত হল?
- প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বর্তমান স্কোয়াড থেকে ৬ জন প্লেয়ারকে রাখতে পারবে। সেটি রিটেনশনের মাধ্যমেও হতে পারে কিংবা রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্যবহার করে। মোট সংখ্যাটা ৬।
- কম্বিনেশন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য নানা ভাবনা চিন্তার জায়গা থাকছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। রিটেনশন ও আরটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সংখ্যাটা ৬জন। এর মধ্যে সর্বাধিক ৫ জন ক্যাপড প্লেয়ার (ভারতীয় এবং বিদেশি মিলিয়ে) এবং সর্বাধিক ২ জন আনক্যাপড প্লেয়ার রাখা বা নেওয়া যাবে।
- পার্স বাড়ানো হল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। এই সম্ভাবনাই ছিল। আগামী আইপিএলের অকশনে ১২০ কোটি টাকার পার্স ব্যবহার করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। পাশাপাশি বেতন বাড়ানোর ব্যবস্থাও থাকছে। অকশন পার্স এবং স্যালারি বাড়ানো মিলিয়ে ২০২৫ আইপিএলে মোট অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ১৪৬ কোটি টাকা। যেটা বাড়তে থাকে। ২০২৬ আইপিএলে ১৫১ কোটি এবং ২০২৭ আইপিএলে ১৫৭ কোটি টাকা হবে।
- ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে ভিন্নমত ছিল। এই নিয়ম রাখা নিয়ে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে ছিলেন। থাকছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম। তার সঙ্গে চালু হল ম্যাচ ফিও। চুক্তির অর্থের পাশাপাশি খেলার সুযোগ পেলে প্রতি ম্যাচে ৭.৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে প্লেয়ারদের। প্রথম একাদশে থাকা প্লেয়ারদের পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেও ম্যাচ ফি-র নিয়ম রয়েছে।
- রিটেনশন ছাড়া বাকি সমস্ত বিদেশি প্লেয়ারদেরই অকশনের জন্য রেজিস্টার করতে হবে। মেগা অকশনে যদি কোনও প্লেয়ার রেজিস্টার না করান তা হলে ২০২৫-এর পরের অকশনেও রেজিস্টার করতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট বিদেশি প্লেয়ার।
- গত মরসুমে শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, চোটের অজুহাত দিয়ে খেলছেন তা তিনি। হাসারঙ্গাকে নিয়েছিল সানরাইজার্স। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি ছিল, নিলামে মনমতো দাম না পাওয়াতেই চোটের অজুহাতে সরে দাঁড়িয়েছিলেন হাসারঙ্গা। এই নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত গভর্নিং কাউন্সিলের। কোনও প্লেয়ার যদি নিলামের জন্য রেজিস্টার করেন এবং নিলামে তাঁকে নেওয়া হয়, তারপর যদি শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান, সে ক্ষেত্রে সেই প্লেয়ারকে আইপিএল খেলা এবং অকশনের জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে।
- কোনও ভারতীয় প্লেয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাঁচ বছর কিংবা তার বেশি আগে বিদায় জানিয়ে থাকলে কিংবা কোনও প্লেয়ার যদি স্কোয়াডে থেকেও পাঁচ বছর (যে কোনও ফরম্যাটেই) একাদশে সুযোগ না পেয়ে থাকেন অথবা সেই প্লেয়ার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলে, আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে গণ্য হতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ভারতীয় প্লেয়ারদের জন্যই।
- এ বার আশা যাক ধোনি কী ভাবে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সুযোগ পেতে পারেন। আইপিএলে এই নিয়ম অনুযায়ী, ধোনিকে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবেও নিতে পারে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে। ২০০৮ সাল অর্থাৎ আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকে এই নিয়ম ছিল। যদিও ব্যবহার হয়নি। ফলে ২০২১ সালে এই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে ধোনিকে যদি আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে রিটেন করা হয় সেক্ষেত্রে মাত্র ৪ কোটি টাকা পাবেন!
- রিটেনশনের ক্ষেত্রে কত টাকা যাবে পার্স থেকে? যদি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঁচজন প্লেয়ার রিটেন করে তা হলে প্রথম তিন জনের জন্য যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি এবং ১১ কোটি পার্স থেকে কাটা যাবে। বাকি দু-জনের জন্য ১৮ এবং ১৪ কোটি। অর্থাৎ কোনও টিম যদি পাঁচ জন প্লেয়ারকে রিটেন করে ১২০ কোটির পার্স থেকে ৭৫ কোটি এখানেই চলে যাবে!