COPD: বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর বিপদ COPD রোগীদের! কী ভাবে সুস্থ থাকবেন?
COPD: এই মৌসুমে আর্দ্রতা, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং পরিবেশে ছত্রাক ও ভাইরাসের আধিক্য থাকায় শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও বাড়ে। তবে কিছু সহজ সতর্কতা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব।

COPD বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ ফুসফুসের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট, কাশি, বুকে চাপ এবং শ্লেষ্মা (কফ) বেড়ে যাওয়া এই রোগের খুবই সাধারণ লক্ষণ। বর্ষাকাল এই রোগীদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং সময়। এই মৌসুমে আর্দ্রতা, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং পরিবেশে ছত্রাক ও ভাইরাসের আধিক্য থাকায় শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও বাড়ে। তবে কিছু সহজ সতর্কতা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব।
১। আর্দ্রতা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন – বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। ঘরে ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা ভালো। না থাকলে ঘর খোলামেলা ও শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
২। ঠান্ডা ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন – বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। বৃষ্টির জল বা ভেজা জামাকাপড়ে বেশি সময় না থাকা উচিত, কারণ এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে।
৩। ইনহেলার ও ওষুধ নিয়মিত নিন – ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ নিয়মিত ও সঠিকভাবে নিতে হবে। প্রয়োজনে রেসকিউ ইনহেলার হাতে রাখুন।
৪। শরীর গরম রাখুন – বর্ষাকালে অনেক সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যায়। হালকা গরম কাপড় পরা ও ভেজা জামাকাপড় দ্রুত বদলে ফেলা প্রয়োজন। সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার এটি একটি সহজ উপায়।
৫। খাবারে সতর্কতা – বর্ষায় পচনশীল খাবার খেলে পেটের সমস্যা ও সংক্রমণ হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে ফুসফুসের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গরম ও হালকা খাবার খান, পর্যাপ্ত জল পান করুন।
৬। শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম – প্রতিদিন ১০–১৫ মিনিট গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তবে শরীর খারাপ লাগলে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন।
