কোমর-হাঁটু-ঘাড়ের ব্যথায় কাবু, অবহেলা করলে ভেঙে যেতে পারে শরীরের হাড়!

aryama das |

May 14, 2021 | 12:03 PM

কোমর, হাঁটু, ঘাড়, গোড়ালি ও শরীরের হাড়ের যে কোনও অংশে হালকা ব্যথা শুরু হলেই যত্ন নিন। যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কোমর-হাঁটু-ঘাড়ের ব্যথায় কাবু, অবহেলা করলে ভেঙে যেতে পারে শরীরের হাড়!
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

দিন দিন বেড়ে চলেছে অস্টিওপোরোসিসের (osteoporosis) সমস্যা। হাড়ের ব্যথার একটি প্রাথমিক ও সাধারণ লক্ষণ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস যেমন এর জন্য দায়ী, তেমনি গোড়ার দিকে এই সমস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না অধিকাংশই। শুধু প্রবীণদের নয়, অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে নয়া প্রজন্মও। তার তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।

চিকিত্‍সকদের মতে, এই রোগের কারণে মাংসপেশিতে অত্যাধিক চাপে একসময় শরীরের হাড় ভেঙে যেতে পারে। সেই কারণেই বৃদ্ধ বয়সে শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকা উচিত নয়। কোমর, হাঁটু, ঘাড়, গোড়ালি ও শরীরের হাড়ের যে কোনও অংশে হালকা ব্যাথা শুরু হলেই যত্ন নিন। যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ক্রমাগত হাড়ের ( bones) ব্যথা বাড়তে থাকলে কোনও একসময়ে চাপ সহ্য করতে না পেরে আপনার হাড় ভেঙে যেতে পারে।

অস্টিওপোরোসিস (osteoporosis) কী?

ক্রমশ হাড়ের দুর্বলতাকে (Weakness of bones )অস্টিওপোরোসিস বলে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষের গঠন হ্রাস পায়। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও খনিজগুলির অভাব ঘটলে হাড়ে ক্ষয় হতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট কমাতে ও কিডনির সমস্যা দূর করতে পাতে পড়ুক ডাঁটা!

হাড় কখন আরও দুর্বল হয়ে পড়ে?

চিকিত্‍সকদের মতে, মেরুদণ্ড যখন সঙ্কুচিত হয়, তখন ব্যক্তির উচ্চতা কিছুটা হ্রাস পায়। এমন হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি ঘাড়ে ও পিঠের ব্যথায় কাবু হন তাহলেও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অবহেলা করলে হাড়ভাঙার মতো হাড়ে পাটল দেখা দিতে পারে। অজান্তেই যদি অস্টিওপোরোসিস রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, তাহলে যে কোনও ছোটখাটো আঘাতের জেরে হাড়ে চির ধরতে পারে। এমনকি সামান্য হাঁচি হলেও ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ (Symptoms of osteoporosis)

প্রথমে এই রোগ সম্বন্ধে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। মেরুদণ্ড, নিতম্ব, কবজিতে কোনও চিড় বা ফাটল তৈরি হলে অস্টিওপোরোসিস হিসেবে সনাক্ত করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ধরে রাখার মতো ক্ষমতা না থাকা, দাঁত ও দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা, নখের বৃদ্ধি না হওয়া এগুলি অস্টিওপোরোসিসর প্রাথমিক লক্ষণ।

আরও পড়ুন- পোস্ট-কোভিড দুর্বলতা কাটাতে কী করবেন-কী খাবেন, দুরন্ত টিপস সমীরা রেড্ডির!

কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?

অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন নেওয়া উচিত সকলেরই। না হলে দুর্বল হয়ে যাওয়া হাড় যেকোনও সময়ে ভেঙে যেতে পারে।

– শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন। পারলে যোগা, এক্সারসাইজ করা শুরু করুন।

– শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও খনিজের অভাব ঘটার কারণ এই রোগ। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস করুন।

– অ্যালকোহল বা ধূমপান করা বন্ধ করুন।

– ৩ মাসের বেশি সময় ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ড্রাগ খাবেন না।

– লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে এই রোগ হতে পারে।

– ৪৫ বছরের বেশি বয়স যাঁদের, তাঁরা হাড়ের খনিজের ঘনত্ব পরীক্ষা (Mineral Density Test)করাতে পারেন।

– নিয়মিত মর্নিং ওয়াক ও অনুশীলন করলে এই রোগ এড়ানো সম্ভব।

– দরকার পড়লে কোনও অর্থপেডিক চিকিত্‍সকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

Next Article