AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Khaskhas Benefits: বাদাম বা আখরোট নয়, ৪০ পেরোলে এই বীজ খেলে শরীরে শক্তি থাকবে অফুরান

Health Tips: ৪০ পেরোলেই শরীরে ব্যথা, বেদনা বাড়তে থাকে। পোস্তর মধ্যে থাকে মরফিন, কোডাইন, থেবেইন- যা যে কোনও রকম ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। যে কারণে পোস্ত খেতে বলা হয়

Khaskhas Benefits: বাদাম বা আখরোট নয়, ৪০ পেরোলে এই বীজ খেলে শরীরে শক্তি থাকবে অফুরান
কেন খাবেন পোস্ত
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2023 | 1:56 PM
Share

৪০ পেরোলে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে, শরীরে একাদিক পরিবর্তন শুরু হয়। আর তাই প্রথম থেকেই যত্নবান হওয়া খুব জরুরি। এই সময় শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই এই সময় এমন কিছু খাবারই খাওয়া উচিত যা শরীরের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। খাবারের প্লেটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখতে হবে। তেল-মশলা কমিয়ে ফেলতে হবে। রেড মিট, মিষ্টি, ময়দা এসব বাদ দিন একেবারে ডায়েট থেকে। সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস রাখবেন সব সময়। খিদে পেলে ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে তাই খান। কথায় বলে ৪০ মানে বার্ধক্যের শুরু। কারণ এই সময় শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ঘাটতি দেখা যায়।

ফলে হাড়, মস্তিষ্ক, জয়েন্ট, পরিপাকতন্ত্র একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সব দুর্বলতা দূর করতে অনেকেই বাদাম, আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এর থেকেও কাজের হল পোস্তদানা। যাবতীয় দুর্বলতা দূর করতে পোস্তদানার কোনও জুড়ি নেই। পোস্ত ভিজিয়ে রেখে রোজ সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে শরীরে জোর বাড়বে। আর পোস্ত খেলে ঘুম খুব ভাল হয়। তাই রোজ ভাতের সঙ্গে একটু করে কাঁচাপোস্ত বেটে খেতে পারেন। বা আলু, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শ, পটল কিংবা মাছ এর সঙ্গে পোস্ত মিশিয়ে তরকারি মনে রাখবেন। পোস্তর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে।

৪০ পেরোলেই শরীরে ব্যথা, বেদনা বাড়তে থাকে। পোস্তর মধ্যে থাকে মরফিন, কোডাইন, থেবেইন- যা যে কোনও রকম ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। যে কারণে পোস্ত খেতে বলা হয়। পোস্ত দেওয়া ড্রাই ফ্রুটস লাড্ডুও খেতে পারেন। এতেও কিন্তু কাজ হবে। এছাড়াও ড্রাই ফ্রুটসও খেতে পারেন। পোস্তর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ বেশি পরিমাণে থাকে। যে কারণে পাচনতন্ত্র সক্রিয় থাকে। এছাড়াও মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, কোলিন, থায়ামিন, ভিটামিন- এত কিছু থাকে পোস্তর মধ্যে। আর তাই পোস্তর দাম যে সোনার সমান হবে তা তো বলাই বাহুল্য।

পোস্ত দানা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। পোস্তর দানার মধ্যে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। যে কারণে তা স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। আজকাল মহিলাদের মধ্যে হরমোনঘটিত রোগের প্রকোপ অনেকটাই বেশি। থাইরয়েডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর পোস্ত দানা শরীরে এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে থাইরক্সিন হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। এছাড়াও হার্ট ভাল রাখতে, ত্বক ভাল রাখতে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে নিয়ম করে পোস্ত খান।