Ayurvedic Tips: থাইরয়েড নিয়ে ভাবতে ভাবতে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে? নিয়মিত পান করুন এই আয়ুর্বেদিক ডিটক্স ওয়াটার
Thyroid: থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে জন্য মানুষ নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেও থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা ধনের বীজের জল দিয়ে নিরাময় করা যায়।
পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত(Thyroid) সমস্যায় ভোগেন। সেই সংখ্যাটা ইদানিং অনেকটাই বেড়েছে। থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Problem) অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। বেশির ভাগ সময়ে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়। সহজ করে বলতে গেলে, থাইরয়েড গ্রন্থি যেই থাইরয়েড হরমোনের সৃষ্টি করে, তার মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি বা কম হওয়াতেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। থাইরয়েড (Thyroid Medicine) হরমোন মূলত বিপাকের ক্ষেত্রে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ। থাইরয়েড দু’ ধরনের হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ধনের বীজের জলকে থাইরয়েড রোগীদের জন্য অমৃত হিসাবে বর্ণনা করেছেন। শুধু তাই নয়, থাইরয়েড রোগীদের জন্য ধনে বীজের জল কীভাবে তৈরি করে সেবন করতে হয় তাও জানিয়েছেন তিনি।
ধনের বীজের জল ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, বদহজম, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, এমনকি অ্যাসিডিটি এবং অত্যধিক তৃষ্ণার মতো জীবনধারার অনেক রোগের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক ডিটক্স হিসাবে ভাল কাজ করে। থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে জন্য মানুষ নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেও উভয় ধরনের থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা ধনের বীজের জল দিয়ে নিরাময় করা যায়।
View this post on Instagram
বৈশিষ্ট্য: স্বাদ: তীক্ষ্ণ এবং তিক্ত গুণ: হাল্কা পানীয় ক্ষমতা: শরীরকে গরম রাখে পাচনের পর এর স্বাদ: মিষ্টি দোষের উপর প্রভাব: আমাদের শরীরের তিনটি দোষের ভারসাম্য বজায় রাখে (বাত, পিত্ত, কফ)
রেসিপি: ধনে বীজের জল তৈরি করতে ১ চা চামচ ধনে ১ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকাল ওই জলটা গরম করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন এবং এই সুগন্ধ যুক্ত পানীয়টি পান করুন। এই পানীয়টি আপনার হজমেও সহায়তা করে।
খাওয়ার এক ঘণ্টা পর থাইরয়েডের ওষুধ খান। আপনার ওষুধ খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে জল ছাড়া অন্য কিছু পান করা এবং খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এটি আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির জন্য সেরা। এক মাস ধরে উজ্জয়ী এবং কপালভাতি প্রাণায়াম অনুশীলনের সঙ্গে সকালে প্রথমে এটি পান করুন। এটি অবশ্যই থাইরয়েডের কার্যকারিতা উন্নত করবে এবং আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার রিপোর্টে পার্থক্য দেখতে পাবেন।
রক্তপাত, অ্যাসিডিটির জন্য এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন-
২৫ গ্রাম ধনে বীজ নিন। এতে ১৫০ মিলি জল যোগ করুন। সারারাত ধনের বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এটি ছেঁকে নিন এবং অল্প পরিমাণ মিছরি মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এই পদ্ধতি শুধু থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে না, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটায়।
আরও পড়ুন: গরমে হাইড্রেটেড থাকতে কত লিটার জল পান করবেন? জেনে নিন