Diabetic Patients: রাতের খাবারে অনীহা! ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাভ না ক্ষতি?

Health Care Tips: অনেকে আটার সঙ্গে বাজরা মিলিয়ে সেই রুটিও খান। আবার অনেকে ভাবেন, রাতে খাবার না খেলে বুঝি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সত্যিই কি তাই? রাতে খাবার না খাওয়া কতটা লাভ বা ক্ষতির?

Diabetic Patients: রাতের খাবারে অনীহা! ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাভ না ক্ষতি?
Image Credit source: CANVA
Follow Us:
| Updated on: Feb 06, 2025 | 12:09 AM

দৈনন্দিন জীবনে নানা ব্যস্ততা। সকলের পক্ষে রুটিন মেনে চলা সম্ভব হয় না। আর এতে নানা রোগ বাসা বাঁধে। ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগ দানা বাঁধছে। একে নিয়ন্ত্রণের জন্য় অনেকেই নানা উপায় নিয়ে থাকেন। কেউ বা ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন। অনেকে আটার সঙ্গে বাজরা মিলিয়ে সেই রুটিও খান। আবার অনেকে ভাবেন, রাতে খাবার না খেলে বুঝি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সত্যিই কি তাই? রাতে খাবার না খাওয়া কতটা লাভ বা ক্ষতির?

রাতের খাবার বাদ দেওয়া কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য সময়মতো খাওয়া দাওয়া খুবই জরুরি। রাতের খাবার না খেলে শরীরে সুগারের লেভেল ওঠা নামা করবে। একটা সময়ের খাবার মিস করা মানেই সমস্য়া। যার ফলে মাথা ঘোরানো, দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়েও যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অনেক সময়ই বলা হয় উপোসের কথা। এর ফলে শরীরে ইনসুলিন ঠিকঠাক কাজ করে। তার মানে এই সকল ডায়াবেটিস রোগীর জন্যই তা লাভজনক হবে। বরং অনেকের ক্ষেত্রে খালিপেটে থাকা মানেই শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।

কী ক্ষতি হতে পারে?

এক সিনিয়র চিকিৎসক সুভাষ গিরির কথায়, ডায়াবেটিস রোগীদের কখনও রাতের খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। বরং, খাবারের সময়টা এগিয়ে আনা উচিত। রাতের খাবার ৮টার দিকে খেয়ে নিলে সেটা স্বাস্থ্য়ের জন্য ভালো বলেই জানান তিনি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর হালকা কিছু হলেও খাওয়া উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসক।

সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করা যেতে পারে?

রাতের খাওয়া বাদ কখনও সমাধান নয়। বরং হালকা পুষ্টিকর কোনও খাবার খাওয়া উচিত। ডাল, সবজি, রুটি, স্যালাড জাতীয় ডিনারের পক্ষে চিকিৎসকরা। মিষ্টি কিংবা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। শোয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত যাতে হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিজে থেকে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই উচিত।