Keto Diet Side Effects: খাবার থেকে কার্বস একদম বাদ? কিটো ডায়েটে নিশ্চুপে বাড়ছে কোলেস্টেরল
Weight Loss Tips: কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট সম্পূর্ণরূপে বাদ থাকে। এই ডায়েটে প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবারই খেতে হয়। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে যে মেটাবলিক পর্যায় পৌঁছায়, তাকে কিটোসিস বলে। এই পর্যায়ে প্রচুর ফ্যাট বার্ন হয় এবং ওজন কমে। কিটো ডায়েটে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
ওজন কমানোর জন্য কেউ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন, আবার কেউ ভেগান ডায়েট। তবে, অনেকেই মনে করেন, কিটো ডায়েটেই চটজলদি ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু এই ডায়েট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কি উপযোগী? কিটোজেনিক লো-কার্বোহাইড্রেট ডায়েট ওজন কমায় ঠিকই, পাশাপাশি কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অন্তত এমনটাই দাবি জানাচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ বাথের সাম্প্রতিকতম গবেষণা।
কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট সম্পূর্ণরূপে বাদ থাকে। এই ডায়েটে প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবারই খেতে হয়। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে যে মেটাবলিক পর্যায় পৌঁছায়, তাকে কিটোসিস বলে। এই পর্যায়ে প্রচুর ফ্যাট বার্ন হয় এবং ওজন কমে। কিটো ডায়েটে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
কিটোজেনিক ডায়েটে উচ্চ ফ্যাট ও প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হয়। আর কার্বসের পরিমাণ কম কিংবা একদম নেই। সাধারণত কিটো ডায়েটে মাখন, ঘি, চিকেন, ডিম, সব ধরনের শাকসবজি ও ফল, ডাল, বাদাম ও বীজ, ড্রাই ফ্রুটস, ছানা ইত্যাদি থাকে। কিন্তু এই ডায়েট মেনে ২-৩ সপ্তাহের বেশি খাবার খাওয়া উচিত নয়। দিনের পর দিন কিটো ডায়েট মেনে খাবার খেলে শরীরে কী-কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, জেনে নিন।
কোলেস্টেরল বেড়ে যায়: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিটো ডায়েট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দেহের ফ্যাট কমালেও কিটোজেনিক ডায়েট রক্তে চর্বির পরিমাণও বাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে এই ডায়েট মেনে খাবার খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে।
অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কম: কিটো ডায়েট অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের গঠন পরিবর্তন করে। এর জেরে অন্ত্রে ভাল বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়। অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া দেহে ভিটামিন বি তৈরিতে সাহায্য করে, জীবাণু ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমায়। যখন সেই সব ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যাবে, তখনই অন্ত্রের সমস্যা বাড়বে এবং ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
গ্লুকোজ টলারেন্স: কিটো ডায়েট গ্লুকোজ শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ, শরীরে কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজমের ক্ষমতা কমতে থাকে। গবেষকদের মতে, কিটো ডায়েট মেনে চললে দেহে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।