Diabetes Care Juice: রোজ করলার রসই কাজ করবে ম্যাজিকের মতো, সুগারের রোগীরা খাচ্ছেন তো?
Diabetes Diet: যাঁদের ব্লাড সুগার লেভেল বর্ডারলাইনে তাঁরাও ২০ মিলি তেতোর রস এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারে। করলা শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় দ্রুত। তাই নিয়মিত করলা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না

ভারতের প্রায় প্রতি বাড়িতে একজন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। আর ভারতে সুগারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ডায়াবেটিস হওয়ার এখন আর কোনও বয়স নেই। খুব কম বয়সেও সুগার হচ্ছে আবার ২১ পেরোতে না পেরোতেও সুগার হচ্ছে। টাইপ ১ আর টাইপ ২-এই দুই রকম ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন মানুষ। এর মধ্যে টাইপ ২-তে আক্রান্তের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। এর মূল কারণ আমাদের জীবনযাত্রা। জীবনে মাত্রাতিরিক্ত চাপ, স্ট্রেস, অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এর প্রধান কারণ। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। এই ইনসুলিন যদি কোনও কারণে কম উৎপন্ন হয় বা একেবারেই না হয় তখনই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে। ভারতে এখন ডায়াবেটিসের রাজধানীও বলা হয়।
সুগার খুবই খারাপ অসুখ। একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কোনও ভাবে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সেরে যায় না। ডায়েট আর ওষুধের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। ডায়াবেটিসে খুবই উপকারী হল করলা। খাবার পাতে শুরুতেই নিমপাতা, উচ্ছে কিংবা করলা – এসবই ওষুধের পরিপূরক। তেতো খাওয়া খুবই ভালো। নিয়মিত তেতো খেলে শুধু ডায়াবেটিস নয়, অনেক রোগের হাত থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মেথি, করলা এসব খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের ব্লাড সুগার লেভেল বর্ডারলাইনে তাঁরাও ২০ মিলি তেতোর রস এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারে। করলা শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় দ্রুত। তাই নিয়মিত করলা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না। করলা সিদ্ধ করে সরষের তেল আর সামান্য নুন দিয়ে গরম ভাতে মেখে খেতে পারেন। এতেও খুব ভাল কাজ হয়। খেতে পারেন শুক্তোও। তবে করলা ভেজে খাবেন না। এতে উপকারের থেকে অপকার বেশি।
আরও একটি ভাল পানীয় হল কালোজাম-করোলার জুস। এই দুই রক্তশর্করা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই দুই এর মধ্যেই প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই বাজার থেকে করোলা-কালোজামের জুস কিনেও খেতে পারেন। অনেকেই পার্কে মর্নিং ওয়াকে যান। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের কথা মাথায় রেখে এই সব জুসও বিক্রি হয় চা-দোকানের পাশাপাি। রোজ সকালে খালিপেটে এই জুস খাওয়ার সু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ থাকবেন আপনিও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
