Bad Cholesterol: গাদা গাদা ওষুধের প্রয়োজন নেই আর, এই ৫ মশলাতেই কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে
Managing cholesterol levels with spices:হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং প্রদাহ ঠেকাতে সাহায্য করে
আজকাল অধিকাংশই কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যায় ভুগছেন। কোলেস্টেরল বাড়া মানেই হার্টের সমস্যাকে আমন্ত্রণ করে আনা। সঙ্গে রক্তচাপ বাড়লে আর রক্ষা নেই। কোলেস্টেরল বাড়ার প্রধান কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। মাত্রাছাড়া ক্যালোরির খাবার খেলে, ধূমপান-মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে এবং কোনও রকম শরীরচর্চা না করলে সেখান থেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যা আসে। কোলেস্টেরল বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। যে কারণে প্রত্যেক মানুষের উচিত বছরে অন্তত দুবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। আর রিপোর্ট নিয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। তিনি যেমন পরামর্শ দেবেন সেভাবেই চলতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। চিকিৎসক যেভাবে চলতে বলবেন সেই ভাবেই চলুন। এছাড়াও রান্নাঘরে থাকা কিছু মশলাও এই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হলুদ। হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং প্রদাহ ঠেকাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গবেষণায় দেখা গিয়েছে খারাপ কোলেস্টেরল ঠেকাতেও কার্যকরী এই হলুদ। এছাড়াও হলুদ অক্সিডেশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
দারুচিনিও কোলেস্টেরল ঠেকাতে খুব কার্যকর। এছাড়াও দারুচিনির মধ্যে থাকে সিনামালডিহাইড এবং সিনামিক অ্যাসিড নামক যৌগ- যা কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। যে কারণে কোলেস্টেরলের সমস্যা রুখতে খুব ভাল কাজ করে দারুচিনি। দারুচিনি গুঁড়ো করে রাখুন। চায়ের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন।
আদাও শরীরের জন্য খুব ভাল। আদার মধ্যে জিঞ্জেরোল এবং শোগাওল নামের দুটি যৌগ থাকে। যা প্রদাহ রোধ করে, কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত ভাবে আদা দিয়ে চা খেলে কোলেস্টেরল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সেই সঙ্গে রক্তসঞ্চালনও ভাল হয়।
গোলমরিচও কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গোলমরিচের মধ্যে থাকে পাইপারিন নামের যৌগ। পাইপারিন এনজাইমের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে পিত্ত নিঃসরণ বাড়ে এবং খাবার ঠিকভাবে হজম হয়। আর গোলমরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকরী মেথি। মেথির অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই জল ছেঁকে খেতে পারেন। এছাড়াও মেথি পাউডার ফুটিয়ে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল কমবেই।