Omicron coronavirus Symptoms: সামান্য জ্বর এবং নাক দিয়ে জল পড়াই ওমিক্রন সংক্রমণের মুখ্য উপসর্গ!
নাক দিয়ে জল পড়া, সামান্য জ্বরই ওমিক্রনের উপসর্গ। সেই সঙ্গে অসম্ভব ক্লান্তি, মাথা ধরে থাকা এসব আছেই। আর তাই তিন দিনের বেশি এই সমস্যা থাকলে অবশ্যই টেস্ট করান।
যাঁরা সামান্য কফ কিংবা সর্দি-কাশির সমলস্যায় ভুগছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই কোভিড পরীক্ষীয় রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গের মধ্যে কিন্তু বিশেষ কোনও ফারাক নেই। দু-একদিন জ্বর, কাশি, দুর্বলতা, সর্দি-এসবই ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। জ্বর-সর্দির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। জেনারেল ফিজিসিয়নদের ( General Physicians) কাছে লেগেই রয়েছে ভিড়। চিকিৎসকদের মতে এবার করোনায় যে সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তা কিন্তু গত বছর ছিল না। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কিংবা ফুসফুসে সংক্রমণের মত ঘটনা কম। ফলে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আবার মৃদু শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকছে। ডেল্টা এখনও পুরোপুরি বিদায় বনেয়নি। যাঁরা ডেল্টা আর ওমিক্রন এই দুই স্ট্রেনের ধাক্কায় সংক্রমিত হচ্ছেন তচাঁদের ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি। যাঁরা এখনও টিকা নেননি তাঁদের মধ্যেও সমস্যা রয়েছে অনেকখানিই।
গত তিন সপ্তাহ ধরেই আমাদের দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন। বেড়েই চলেছে কোভিডের গ্রাফ। প্রতিদিনই কিন্তু বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনের তুলনায় অন্যদিনই সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় তরঙ্গে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের সকলের ক্ষেত্রেই জ্বর বেশি ছিল। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছিল স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি। তবে এবার হালকা জ্বর, মাথা ব্যথা, প্রচুর ক্লান্তি, পেশির ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এই সব উফসর্গই কিন্তু মুখ্য। সেই সঙ্গে গলা ব্যথা আর কাশির সমস্যা তো আছেই। কাশি -কফ এত বেশি যে বেশিরভাগেরই গলা চিরে যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ৬৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই মুখ্য উপসর্গ হল মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি। শরীর অসম্ভব ক্লান্ত, হালকা মাথা ধরা এবং জ্বর হল ওমিক্রনের প্রাথমিক উপসর্গ। জ্বর যে খুব বেশি থাকছে তাও নয়। প্রথম দুদিন জ্বর থাকলেও পরবর্তীতে তা আর থাকছে না। কিন্তু শরীরে ক্লান্তি খুব বেশি থাকছে। যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসকার জন্য আসছেন তাঁদের মধ্যেও এই কয়েকটি সমস্যা প্রকট। জানালেন রাজস্থানের এস এল রাহেজা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের হেড- সঞ্জিত শশীধরন। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা এর আগে ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেরই ক্ষেত্রে অসম্ভব গলা ব্যতা ছিল। কিন্তু এবার প্রতমদিকে গলা ব্যথা থাকলেও পরবর্তীতে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা আসে। সেই সঙ্গে গলা একেবারেই চিরে ( Scratchy throat)যাচ্ছে। আর বেশিরভাগের সমস্যা হল নাক দিয়ে জল পড়া এবনং নাক বসে যাওয়া। বন্ধ নাক কোনও ভাবেই ছাড়ছে না। যা সাধারণ ফ্লু এর মত। তবে এবার কাশির সঙ্গে কপেরও সমস্যা রয়েছে’। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
মোটামুটি ২-৫ দিন পর্যন্ত থাকছে এই সব সমস্যা. ফলে অনেকেই বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা ওমিক্রনে অআক্রান্ত কিনা। অনেকেই টেস্ট করাচ্ছেন না। যে কারণে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাঁদের থেকে সহজেই সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছেন অন্যরাও। বেশ কিছুজনের ক্ষেত্রে রাতের দিকে প্রবল ঘাম হয়েছে। তবে এই সমস্যা সকলের ক্ষেত্রে হয়নি। আবার অনেকেরই খিদেমন্দা, বমিভাব, কনজাংটিভাইটিস এই সবের সমস্যাও রয়েছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ ফুসফুসে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলছে। যা ডেল্টার সময় ঠিল একেবারে উলটো। তবে চিকিৎসকেরা এটাও জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ মানুষ নিজের থেকে টেস্ট করাচ্ছেন। রিপোর্ট পজিটিভ এলেই নিজেকে হোম আইসোলেশনে রাখছেন।