AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সেক্স করার ইচ্ছে হারাচ্ছেন? টেস্টোস্টেরন লেভেল কমেনি তো!

Low Testosterone in Male: আমেরিকান ইউরোলজিকাল অ্যাসোশিয়েশনের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষের ৪৫-এ পৌঁছে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা একদম কমে যায়। কিন্তু অনেকেই সেটা বুঝতে পারে না। তবে, শরীরে এমন বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা দেখে 'লো টি' বোঝা যায়। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন।

সেক্স করার ইচ্ছে হারাচ্ছেন? টেস্টোস্টেরন লেভেল কমেনি তো!
| Updated on: Feb 29, 2024 | 1:06 PM
Share

মেনোপজ কি শুধু মহিলাদের হয়? শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মহিলাদের মেনোপজ হলেও, পুরুষেরা পিছিয়ে নেই। শুনে অদ্ভুত মনে হলেও, পুরুষদেরও মেনোপজ হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি কোনও শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নয়। বরং, দেহে স্টেটোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে পুরুষদের ক্ষেত্রে মেনোপজ বললেও ভুল নয়। স্টেটোস্টেরনের মাত্রা কম—এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব কমন সমস্যা। একে ‘লো টি’, ‘অ্যান্ড্রোপজ’ বা ‘টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি’ও বলে।

টেস্টোস্টেরন এক ধরনের হরমোন যা পুরুষদের মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করা থেকে শুরু করে শুক্রাণু উৎপাদন এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশি ও হাড় গঠনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই হরমোন সাধারণত জন্মের সময় পুরুষদের অন্ডকোষের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। বয়স যত বাড়ে, এই হরমোনের উৎপাদনও কমতে থাকে।

আমেরিকান ইউরোলজিকাল অ্যাসোশিয়েশনের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষের ৪৫-এ পৌঁছে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা একদম কমে যায়। কিন্তু অনেকেই সেটা বুঝতে পারে না। তবে, শরীরে এমন বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা দেখে ‘লো টি’ বোঝা যায়। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন।

যৌন আকাঙ্ক্ষা কম: টেস্টোস্টেরন আপনার সেক্স ড্রাইভ বা লিবিডোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরুষই যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেন। এটা স্টেটোস্টেরনের মাত্রা কম হওয়ার লক্ষণ।

ইরেকশন: টেস্টোস্টেরন ইরেকশনে সাহায্য করে। এই হরমোন মস্তিষ্কের রিসেপ্টরকে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করার বার্তা দেয় এবং ইরেকশনে সহায়তা করে। ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের পিছনে এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া দায়ী হতে পারে।

রোগা হয়ে যাওয়া: যেহেতু পেশি গঠনে টেস্টোস্টেরন বিশেষ ভূমিকা পালন করে, তাই এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ায় পেশির ঘনত্বও কমে যায়। এতে আপনার চেহারা রোগা হয়ে যেতে পারে।

অস্টিওপোরসিস: পেশির ঘনত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি টেস্টোস্টেরন হরমোন হাড় গঠনেও সহায়তা করে। তাই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে হাড়ের ঘনত্বে‌র উপর প্রভাব পড়ে। এতে অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকি বাড়ে। যে কারণে বয়স বাড়লে বাতের ব্যথা বাড়ে। একটু আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

ভুঁড়ি তৈরি হয়: টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে হাড় ও পেশির ঘনত্ব কমে যায়। কিন্তু পেটের মেদ জমতে থাকে। ৪৫-এর পর অনেক পুরুষেরই ভুঁড়ি হয়ে যায়। এটাই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ।