AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Irregular Periods: প্রেগন্যান্ট নন তাও পিরিয়ড মিস করেছেন? যে ৫ কারণে ঋতুস্রাবের তারিখ পিছোতে পারেন

Menstrual Health: আপনার প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবুও, এ মাসে পিরিয়ড মিস করেছেন। এমন অবস্থায় যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। তবে, প্রেগন্যান্সিই একমাত্র কারণ নয় পিরিয়ড মিস হওয়ার। আজকাল প্রজনন বয়সকালে প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছে। আর এর পিছনে বিভিন্ন কারণ দায়ী।

Irregular Periods: প্রেগন্যান্ট নন তাও পিরিয়ড মিস করেছেন? যে ৫ কারণে ঋতুস্রাবের তারিখ পিছোতে পারেন
| Updated on: Jun 04, 2024 | 9:00 AM
Share

আপনি নিয়মিত যৌন মিলনে লিপ্ত হন না। শেষবার যখন সেক্স করেছিলেন, আপনার ওভুলেশনও শুরু হয় না। ওভুলেশন চলাকালীন যৌন মিলনে লিপ্ত হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  অর্থাৎ, আপনার প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবুও, এ মাসে পিরিয়ড মিস করেছেন। এমন অবস্থায় যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। তবে, প্রেগন্যান্সিই একমাত্র কারণ নয় পিরিয়ড মিস হওয়ার। আজকাল প্রজনন বয়সকালে প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছে। আর এর পিছনে বিভিন্ন কারণ দায়ী। সেগুলো কী-কী জেনে নিন।

১) বয়ঃসন্ধিকালেও মেয়েরা ভুগছে পিসিওস-এর সমস্যায়। ১৫ থেকে ৪৫ এই প্রজনন বয়সকালে প্রায় ১৩ শতাংশ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে ভোগেন। ওভারিতে সিস্টের সমস্যা থাকলে সময়মতো পিরিয়ড হয় না। অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি তলপেটে ব্যথা, ব্রণ, ত্বকে রোমের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়।

২) দেহের ওজন বেশি হলে পিরিয়ডের তারিখ এদিক-ওদিক হতে পারে। ওবেসিটিতে ভুগলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা খুব কমন। পিসিওডি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অবস্থায় ওজন বেড়ে যায়। এর জেরে ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।

৩) হরমোনের তারতম্য ঋতুচক্রের উপর প্রভাব ফেলে। থাইরয়েডের সমস্যায় পিরিয়ডের তারিখ পিছিয়ে যেতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগলে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

৪) গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলেও পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৫) অত্যধিম মানসিক চাপ আপনার মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অফিসে কাজের চাপ, সংসারে অশান্তি, ব্যক্তিগত জীবনে মানসিক চাপ সবই একটার সঙ্গে একটা যুক্ত। মানসিক চাপ থাকলে স্ট্রেস হরমোন কর্টি‌সল অত্যধিক পরিমাণে নির্গত হয়। এর জেরে পিরিয়ডের ডেট পিছিয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়েও ঋতুস্রাব নিয়মিত করার সুযোগ রয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিন যদি ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, তাহলেই পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে পারবেন। কায়িক পরিশ্রম করলেও ঋতুস্রাব নিয়মিত হতে পারে। এছাড়া খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাস, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক—ঋতুস্রাবের সমস্যা বাড়ায়। এগুলো ছেড়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান। পুষ্টিকর খাবার খান।