AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

HDL Cholesterol: হঠাৎ করে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়েছে? ওষুধ ছেড়ে লাইফস্টাইলের উপর জোর দিন

Health Tips: ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকতে হবে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকতে হবে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে বিপরীতটা ঘটে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য আপনি ওষুধ খেতে পারেন। কিন্তু ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর জন্য কোনও ওষুধ নেই।

HDL Cholesterol: হঠাৎ করে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়েছে? ওষুধ ছেড়ে লাইফস্টাইলের উপর জোর দিন
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2023 | 9:00 AM
Share

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে ওষুধ খেয়ে তাকে বশে রাখা যায়। সমস্যা তখনই বাড়ে, যখন ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা কমে যায়। এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল হার্টের জন্য ভাল। নিয়ম অনুযায়ী, ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকতে হবে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকতে হবে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য আপনি ওষুধ খেতে পারেন। কিন্তু ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর জন্য কোনও ওষুধ নেই। ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে লেগে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।

১) ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ডায়েট পরিবর্তন আনুন। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খান। অলিভ অয়েল, আমন্ড, কাজু, ক্যানোলা তেল, অ্যাভোকাডো, পিনাট বাটার ও জলপাই খেতে পারেন।

২) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খেতে পারেন। এটি এক প্রকার পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের জন্য উপকারী। সামুদ্রিক মাছে আপনি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে যাবেন।

৩) ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া কমান। ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার ভাল কোলেস্টেরলে মাত্রা কমাবে এবং খারাপ কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়াবে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

৪) যে সব খাবারে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, সেগুলো রোজ খান। ওটস, বার্লি, ডালিয়া, কিনোয়া, ডালের মতো দানাশস্য খেতে পারেন। এছাড়াও চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল খেতে পারেন।

৫) আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চা করলে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রোজ অ্যারোবিক ব্যায়াম করলে খারাপ কোলেস্টেরলে মাত্রা কমবে।

৬) খাওয়া-দাওয়া ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বশে থাকে।

৭) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে ধূমপান ছাড়তে হবে। ধূমপান ছাড়তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। এর জন্য আপনাকে আলাদা করে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

8) সীমিত পরিমাণে মদ্যপান করুন। রোজ অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস খারাপ কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে দিনে দু’পেগ এবং মহিলাদের দিনে এক পেগ মদ্যপান করা যথেষ্ট। এর বেশি মদ্যপান করলে কোলেস্টেরলের পাশাপাশি একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।