দীর্ঘদিন নাইট শিফট করে এই বিপদ ডেকে আনছেন কি?
রাতে কাজ করলে মেটাবলিক ডিজঅর্ডার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজঅর্ডার এবং ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন কর্মীরা।
গত কয়েক বছরে কাজের দুনিয়া বদলে গিয়েছে অনেকটাই। এমন বহু পেশা রয়েছে যেখানে পেশার তাগিদে সজাগ থাকতে হয় ২৪ ঘণ্টা। ফলে কর্মীদের মধ্যে ভাগ করা থাকে বিভিন্ন শিফট। কখনও দিনে পারফর্ম করতে হয়। কখনও বা রাতে (Night shift workers)। দিনে পারফর্ম করলে সেই অর্থে শারীরিক সমস্যা বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু রাতে দীর্ঘদিন টানা কাজ করলে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা শুরু হওয়া স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা নাইট শিফট করলে যে কোনও বয়সী কর্মীদের হাঁপানির (asthma) প্রবল সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বহু পুরনো মেডিক্যাল জার্নাল থোরাক্সে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া প্রবন্ধে রয়েছে এ হেন গবেষণার বিস্তারিত ফল। সেখানে গবেষকরা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে নাইট শিফটে কাজ করলে প্রতি পাঁচ জন কর্মীর মধ্যে একজন হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হন। শরীরের যে স্বাভাবিক ঘড়ি তা বদলে যাওয়াতেই নাকি এই বিপত্তি। ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জানিয়েছেন, রাতে কাজ করলে মেটাবলিক ডিজঅর্ডার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজঅর্ডার এবং ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন, ভুঁড়ি কমাতে এই কাজগুলো আপনাকে করতেই হবে
৩৭ থেকে ৭২ বছর বয়সী কর্মীদের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ অফিসের নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করেন। ১৭ শতাংশ বিভিন্ন শিফটে কাজ করেন। এই ১৭ শতাংশের মধ্যে অর্ধেক কর্মীকে রাতের শিফটেও কাজ করতে হয়।
হাঁপানি থেকে দূরে থাকতে কী কী করবেন
১) হাঁপানির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। কোন ধরনের শরীরচর্চা আপনার জন্য প্রয়োজনীয়, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
২) যে সব খাবার অ্যালার্জি হতে পারে, তা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে আপনার কোন কোন খাবারে অ্যালার্জি তা আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন।
আরও পড়ুন, বেশি বয়সে মাতৃত্ব কতটা ঝুঁকির?
৩) শীতকালে হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। তাই আগাম সতর্কতা প্রয়োজন। বিশেষত ধুলো থেকে সমস্যা হতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হতে হবে।
৪) বাড়ির বাইরে গেলে ইনহেলার ব্যাগে রাখুন। যাতে হঠাৎ কোনও সমস্যায় আপনি দ্রুত সুস্থ হতে পারেন।
৫) নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস মনিটর করুন। যাতে কোনও সমস্যার পূর্বাভাস পেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
৬) নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কোনও ওষুধ থাকলে তা নিয়ম মেনে খেতে ভুলবেন না।