Coronavirus vaccine: ৫-১১ বছর বয়সীদের জন্য ততটাও কার্যকরী নয় ফাইজার ভ্যাকসিন, বলছে সমীক্ষা
Pfizer Inc: টিকা নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই শিশুদের শরীরে দ্রুত কমেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার থেকে তাদের মধ্যেও থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
ওমিক্রন (Omicron) ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই কোভিড টিকার (Covid Booster Dose) তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয় বিশ্বজুড়েই। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৫-১১ বছর বয়সীদেরও দেওয়া হবে কোভিড টিকা। সেইমত আমেরিকাতে শুরু হয় টিকাকরণও। Pfizer Inc এবং BioNTech SE COVID-19 এই দুটি ভ্যাকসিনই দেওয়া হয় বাচ্চাদের। তবে সম্প্রতি সমীক্ষা বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে যতটা কার্যকরী ছিল কোভিডের ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কিন্তু মোটেই তা কার্যকরী নয়। সম্প্রতি সমীক্ষা অনুসারে, টিকা নেওয়ার পর শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জানুয়ারির শেষের দিকে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। ডিসেম্বরে যা ছিল ৬৮ শতাংশ। ১২-১৭ বছর বয়সীদের উপরই এই সমীক্ষা প্রথম চালানো হয়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তাদের শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল ৬৬ % পরবর্তীতে তা নেমে এসেছে ৫১ শতাংশে।
যে কারণে গবেষকদের দাবি, শিশুদের জন্যও অবিলম্বে বিকল্প ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভ্যাকসিনের মূল লক্ষ্যই হল সংক্রমণ রোধ করা। কিন্তু ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এত দ্রুত নষ্ট হয়ে গেলে তা বেশ সমস্যার। সেই সঙ্গে মাস্ক পরা এবং যাবতীয় কোভিড বিধিও কিন্তু মেনে চলতে হবে। নভেম্বরের শেষ থেকে ওমিক্রনের ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়ে তাতে বিশ্বজুড়েই প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হন। তখন বাদ পড়েনি শিশুরাও। কিন্তু টিকাকরণের জন্যই তখন ৪৮ শতাংশ আক্রান্ত শিশুই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিল। এমনকী ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যেও হাসপাতালে ভর্তির তেমন সম্ভাবনা ছিল না।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেন হসপিটালের পেডিয়াট্রিক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পল যেমন বলেছেন, ভ্যাকসিনের কর্মক্ষমতা যে কমে যাচ্ছে তার জন্য সঠিক তথ্য প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তাঁরা বলেন, ওমিক্রনের রোগ সংক্রমণ হালকা। আক্রান্ত হলেও খুব একটা গুরুতর অসুস্থতা আসছে না। এমনকী সকলে সহজেই বাড়িতে থেকে সেরে উঠছেন। আর তাই, ভ্যাকসিনের উদ্দেশ্য হল শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা। এবং কোভিডে আক্রান্ত হলে হাসপাতালের ঝুঁকি এড়ানো। ওমিক্রনের রোগ সংক্রমণ হালকা বলেই যে টিকার কার্যকারিতা কমে যাবে এমন কিন্তু নয়।
যদিও এবারের কোভিডে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু কেন শিশুদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরও হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি সেই বিষয়ে বিষদ তথ্যের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, গত দুই কোভিডে আক্রান্ত শিশুদেরও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। কিন্তু তবুও শিশুদের টিকাকরণও খুবই জরুরি।
প্রাকৃতিক ভাবেও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১২-১৭ বছর বয়সীদের জন্য ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। বয়স্কদের ক্ষেত্রে যা ৩০ মাইক্রোগ্রাম। কিন্তু উভয়ই কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ পেতে পারে। যে কারণে ফাইজারের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে কোভিড সংক্রমণ রুখতে বাচ্চাদেরও কোভিড টিকার তিনটি ডোজের প্রয়োজন রয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।