AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coronavirus : লেগেই রয়েছে ঘুসঘুসে জ্বর! কোভিড নাকি অন্য কিছু?

Fever: সর্দি-গর্মির কারণেও জ্বর হতে পারে। কিন্তু শরীরে জ্বর থাকা মানেই কোনও রকম সংক্রমণের ইঙ্গিত। দিন দিনের বেশি স্থায়িত্ব হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

Coronavirus : লেগেই রয়েছে ঘুসঘুসে জ্বর! কোভিড নাকি অন্য কিছু?
প্রায়শই জ্বর আসলে অবহেলা নয়
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2022 | 9:10 AM
Share

কোভিড ভাইরাস কিন্তু বিভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরের উপরে। এখনও পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ভাইরাস মূলত প্রভাব ফেলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপরের দিকে। বেশ কিছুজনের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণও কিন্তু এই কোভিড। আবার কোভিড থেকে সেরে উঠলেও অনেকের ক্ষেত্রে এই হৃদরোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গিয়েছে। একটানা কাশি, গলা ব্যথা ছাড়াও COVID-এর প্রাথমিক লক্ষণ হল ঘুসঘুসে জ্বর। ১০১ এর বেশি জ্বর সাধারণত থাকে না। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে তা বাড়তেই পারে। তবে জ্বর মানেই যে সব সময় কোভিডের ইঙ্গিত তা কিন্তু নয়। জ্বর থেকে আসতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আর এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে নিজেকেই। যে কোনও জটিল সমস্যার প্রাথমিক অঙ্গিত কিন্তু এই ঘুষঘুষে জ্বর।

যখন আপনার শরীরের তাপমাত্রা ১০০.৪ এবং ১০২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে তখন একটি নিম্ন গ্রেডের জ্বর হয়। একটি স্বাভাবিক শরীরের তাপমাত্রা প্রায় ৯৮.৬° ফারেনহাইট বলা হয়। তবে সব সময় সামান্য জ্বরের অনুভূতি মানেই যে উদ্বেগ এমন কিন্তু একেবারেই নয়। গরম থেকেও জ্বর হতে পারে. ঘাম বসেও জ্বর হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে অন্য উপসর্গ গুলো হল মাথাব্যথা, কাঁপুনি, পেশীতে ব্যথা, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি। কোভিড ছাড়াও কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ঘটিত কারণেও এই জ্বর হতে পারে। বিভিন্ন ফ্লু, হাম, মাম্পস, জল বসন্ত, কানে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ, সানোসাইটিস থেকেও হতে পারে এই ঘুসঘুসে জ্বর। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং লুপাসের মতো কিছু অটোইমিউন রোগের কারণেও কিন্তু হতে পারে হাসকা জ্বর, গা ম্যাজম্যাজের মত সমস্যা। এছাড়াও পেশির ব্যথা, বুকের সংক্রমণ থেকেও হতে পারে এই জ্বরের সমস্যা।

কিছু ধরণের ক্যান্সার যেমন লিম্ফোমাস এবং লিউকেমিয়াস-এর ক্ষেত্রেও কিন্তু মাঝেমধ্যে জ্বর আসা লক্ষণ। শরীরে যদি কোনও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থাকে সেখান থেকেও জ্বর হতে পারে। আবার যাঁদের কেমোথেরাপি চলছে তাঁদের শরীরে অতিরিক্ত শ্বেত রক্ত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। সেখান থেকেও কিন্তু এই সমস্যা আসতে পারে। আবার দেখা গিয়েছে কিছু ওষুধে কারণেও কিন্তু জ্বর আসতে  পারে। নতুন কোনও ওষুধ শুরু করার পরও কিন্তু ৭-১০ দিন পর্যন্ত হতে পারে এই জ্বরের সমস্যা। আবার যে কোনও টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও জ্বর আসতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা যেমন বলছেন, সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া এবং ট্রাইকোমোনিয়াসিসের মতো যৌন সংক্রমণের একটি সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যৌন সংসর্গ থেকেই কিন্তু ছড়িয়ে পড়ে এই সব রোগ সংক্রমণ। যদি খুব গুরুতর কারণ না থাকে তাহলে নিজে থেকেই সেরে যাবে। আর তা না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ জল খান। পর্যাপ্ত শাক-সবজি খান। বিশ্রামও নিতে হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Weight Loss: ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন? যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন