হঠাৎ চোখের সামনে কয়েক সেকেন্ড সবকিছু ধোঁয়াশা, সবকিছু অন্ধকার দেখা, এমনটা ঘটতে পারে। আপনি অচৈতন্য হয়ে পড়তে পারেন। বিষয়টিকে সহজভাবে নেবেন না। ওত পেতে বসে রয়েছে বিপদ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্ষণিকের জন্য স্মৃতিশক্তিতে তীব্র প্রভাব ফেলে ‘ব্ল্যাক আউট’। হারিয়ে যায় স্মৃতি। ব্ল্যাক আউট হওয়ার সময়কার ঘটনা কিছুই মনে থাকে না আর।
ব্ল্যাক আউট হওয়ার আগে কীভাবে বুঝবেন ও সতর্ক হবেন?
প্রথমত, হাঁটতে অসুবিধে হবে। পা ফেলতে অসুবিধে হবে। কথা বলতে অসুবিধে হবে। এমনকী, দাঁড়াতেও অসুবিধে হতে পারে। কথা বলার সময় জড়তাভাব আসতে পারে। চোখের দৃষ্টি হতে পারে আবছা। এমনটা যদি হয়, কোথাও একটা বসে পড়বেন। দাঁড়িয়ে থাকবেন না। ব্ল্যাক আউটে আচমকা পড়ে গেলে গুরুতর চোট পেতে পারেন।
কী কারণে ব্ল্যাটআউট হতে পারেন?
দু’ধরনের ব্ল্যাক আউট হয়। একটিতে, ব্ল্যাক আউটের আগের সময়ের কিছু ঘটনা বা শব্দ আপনার মনে থাকবে। অন্যটিতে, স্মৃতি সম্পূর্ণ মুছে যাবে। কিছুই মনে থাকবে না। এপিলেপটিক সিজ়ার, অজ্ঞান হওয়া, নিম্ন রক্তচাপ, সাইকোজেনিক সিজ়ার, নিম্ন ব্লাড সুগার, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে হতে পারে ব্ল্যাকআউট। এর অন্যতম কারণ কিন্তু হতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপানের অভ্যাস। সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, কোনও মধ্যবয়সি ব্যক্তি যদি মদ্যপানের নেশা শুরু করেন, তা হলে তাঁর এই সমস্যা হতে পারে। অল্প বয়সিদেরও এই সমস্যা হতে পারে। অন্য একটি সমীক্ষা বলছে, মহিলাদের মদ্যপানের নেশা তুলনায় কম হলেও তাঁরাই ব্ল্যাটআউটের শিকার হন বেশি।
কীভাবে রুখবেন ব্ল্যাকআউটের সমস্যা?
১. মদ্যপানের থেকে দূরে থাকুন।
২. জীবন থেকে স্ট্রেস নামের শব্দটা প্রথমেই বাদ দিন।
৩. সুস্থ জীবনযাপন করুন। অনিয়মে চলবেন না।
৪. সারাদিন কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে বিরতি নিন কাজ থেকে। পরিবার-প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান।
আরও পড়ুন: জোরে টিভি দেখেন, হেড ফোনে সারাক্ষণ গান শোনেন – অকালেই মৃত্যু ডেকে আনছেন না তো?
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদেই লুকিয়ে পেটের মেদ ঝরানোর ৯টি উপায়