Yoga for Diabetes: ডায়াবেটিসে দুর্বল হয়ে যায় নার্ভও, এই যোগাসন নিয়মিত করলে উপকার পাবেনই
How to lower diabetes: NCBI-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে নিয়মিত ভাবে যোগাসন এবং প্রাণায়ম করলে অগ্ন্যাশয় সক্রিয় থাকে। অগ্ন্যাশয় সক্রিয় থাকলে সেখান থেকে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণও ঠিক থাকে
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। কিডনির সমস্যা হয়, চোখের সমস্যা হয় সেই সঙ্গে স্নায়ুরও ক্ষতি হতে শুরু করে। শিরা দুর্বল হয়ে গেলে তখন রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এর ফলে শিরা পাতলা ও সঙ্কুচিত হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে হার্ট আর কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়।
অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। আর সেই হরমোন যদি অগ্ন্যাশয় থেকে কম পরিমাণে তৈরি হয় তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকে। অনেক সময় অগ্ন্যাশয় নিজের থেকে ইনসুলিন হরমোনও তৈরি করতে পারে না। তখন ইনসুলিন বাইরে থেকে প্রয়োগ করে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আর তাই ডায়াবেটিস হলে নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা এবং ডায়েট টিপস মেনে চলা দরকার। ক্যালোরি একেবারেই কম পরিমাণে খেতে হবে। চিনি, চাল, আলু এসব যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। সেই সঙ্গে সর্বাঙ্গাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
NCBI-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে নিয়মিত ভাবে যোগাসন এবং প্রাণায়ম করলে অগ্ন্যাশয় সক্রিয় থাকে। অগ্ন্যাশয় সক্রিয় থাকলে সেখান থেকে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণও ঠিক থাকে। ইনসুলিনের ক্ষরণ ঠিক থাকলে সহজেই রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সর্বাঙ্গাসনে শরীরের সব অঙ্গকে সক্রিয় করে।
কী ভাবে করবেন সর্বাঙ্গাসন? প্রথমে যোগা ম্যাটের উপর সোজা হয়ে শুয়ে দুটো হাত কোমরের পাশে রাখতে হবে। এবার হাতের উপর পুরো ভর রেখে প্রথমে একটি পা তুলুন। শ্বাস- প্রশ্বাস নিন। এবার একটা পা নামিয়ে অন্য পা তুলুন। এভাবে দু বার করার পর তিনবারের সময় দুটো পা একত্রে তুলতে হবে। হাত কোমরের দুপাশে মাটিতে রেখে দুটো পা তুলুন। ৩০-৬০ সেকেণ্ড পর্যন্ত রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে পা নামিয়ে নিন।
সর্বাঙ্গাসনের উপকারিতা
রোজ সর্বাঙ্গাসন করলে হাত আর কাঁধের পেশী শক্তিশালী হয় মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌঁছয় এতে হৃৎপিণ্ডের পেশী প্রসারিত ও শক্তিশালী হয় কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা মেটে থাইরয়েড গ্রন্থি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে
কারা সাবধান হবেন-
যদি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্লিপ ডিস্ক, ঘাড়ে ব্যথা, পিরিয়ড চললে বা গর্ভবতী হলে এই আসন এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।