Period Flu: ঋতুচক্রের সময় জ্বর-বমি-মাথা ঘোরা কি আপনারও হয়? পিরিয়ড ফ্লু এর শিকার নন তো
Period Flu Symptoms: জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি... প্রতি মাসে পিরিয়ডসের সময় এই কয়েকটি লক্ষণ থাকেই? জেনে নিন পিরিয়ডস ফ্লু এর লক্ষণ

পিরিয়ডের ঠিক আগে বা পরে প্রত্যেক মেয়েই নানা সমস্যায় ভোগেন। আবার এমনও অনেকে আছেন যাঁদের কোনও সমস্যাই থাকে না। যদিও এই সংখ্যাটা এখন খুবই কম। পিরিয়ডের সময় মাথাঘোরা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এইসব সমস্যায় ভোগেন? পিরিয়ডের সময় এই সমস্যা অনেকেরই হয় আর এই সমস্যা পিরিয়ড ফ্লু নামে পরিচিত। পিরিয়ড শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বা পরে ব্যথা, ক্লান্তি এসব থাকেই। যে কদিন পিরিয়ড চলে সেই কয়েকদিন ধরেই থাকে এই ব্যথা। ঋতুস্রাবের সময় সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়, যার ফলে জ্বর আসতে পারে। আর তাই পিরিয়ডসের সময় জ্বর হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
পিরিয়ড ফ্লু এর লক্ষণ অনেকেরেই প্রতি মাসে পিরিয়ডসের সময় জ্বর আসে। পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার কারণে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ওভ্যালিউশন এর সময় শরীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। তখনই জ্বর আসতে পারে। যদিও অনেক চিকিৎসক পিরিয়ডসের সঙ্গে জ্বরের এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। পিরিয়ড ফ্লু এর খুব কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ রয়েছে।
বমি বমি ভাব মাথা ঘোরা মাথাব্যথা ক্লান্তি পেশির সংযোগস্থলে ব্যথা ক্র্যাম্প পিঠে ব্যথা
আর তাই এই ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে যা কিছু মেনে চলবেন
রোজ নিয়ম করে ফল, শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। গোটা শস্যও যত বেশি খাওয়া যায় ততই ভাল। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট পনির এবং যে কোনও রকম ভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের খাবার যত সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পিরিয়ডের সময় যাতে হাইড্রেটেড থাকা যায় সেই চেষ্টা করুন। জল বেশি করে খেতে হবে। পিরিয়ডের দিনগুলোতে ডাবের জল খান। চিয়া সিডস ভিজিয়ে খান। এছাড়াও ফলের রস খেতে পারলেও খুব ভাল। রোজ ৩০ মিনিট ওয়ার্ক আউট করুন। ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটতেই হবে। এছাড়াও সাঁতার কাটা, ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম এসবও খুব ভাল ফল দেয়।
ওয়াশরুম ব্যবহারের আগে এবং পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। স্বাস্থ্যকর এই অভ্যাস প্রত্যেকেরই করে রাখা দরকার। এছাড়াও পিরিয়ডসের সময় প্রতি ৬ ঘন্টা অন্ত প্যাড চেঞ্জ করা বাঞ্ছনীয়। যাঁরা ট্যাম্পন ব্যবহার করে তাদেরও উচিত এই ৬ ঘন্টা অন্ত তা বদলে ফেলা।
পিরিয়ডের সময়ে স্ট্রেস বেড়ে যায়। আর তাই অন্তত ১৫ মিনিট যোগা করতে পারলে খুব ভাল। জোরে জোরে শ্বাস নিন, শ্বাস ছাড়ুন। সেই সঙ্গে মাসিকের সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। এখনকার কর্মব্যস্ত জীবনে সকলেরই হাতে সময় কম। তবুও তার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে এই প্রাণায়মে দিন। এতে নিজেই সুস্থ থাকবে। যে কোনও রকম নেশা থেকে দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতেই কিন্তপ কাজ হবে।
