Insomnia: রোজ ৮ ঘণ্টারও কম ঘুমাচ্ছেন? অজান্তেই বাসা বাঁধছে ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটি!

Health Problems: নিউ ইয়র্কের ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অনিদ্রা হার্টের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা কমে যায়।

Insomnia: রোজ ৮ ঘণ্টারও কম ঘুমাচ্ছেন? অজান্তেই বাসা বাঁধছে ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটি!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 7:30 AM

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে পরের দিন সক্রিয় থাকা অসম্ভব। গোটা দিনই ক্লান্তি আর অলসতায় কেটে যায়। লকডাউনের সময় কাল থেকেই বহু মানুষের রাতের ঘুম জাস্ট উধাও হয়ে গিয়েছে। রোজ রোজ কম ঘুমের কারণে সবসময় শরীরের মধ্যে এক অলসতা বাসা বাঁধতে শুরু করে। কোনও কাজেই মন বসতে চায় না। কোনও কাজ করতে ভালও লাগে না। পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলেই অনিদ্রার মতো গুরুতর রোগ সৃষ্টি হয়। অনিদ্রা বা ইনসোমানিয়া কোনও একক রোগ নয়, এর সঙ্গে আরও কিছু গুরুতর রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করে। উদ্বেগ, বিষন্নতার মতো মানসিক রোগ জন্মায়। অনিদ্রার কারণে শারীরিক ও মানসিক রোগের প্রকাশ ঘটে ধীরে ধীরে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সমস্যা কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কমে যায়। প্রতিদিন রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শরীরে মধ্যে কিছু গুরুতর রোগের বিকাশ ঘটে। অনিদ্রার মাত্রা যদি তীব্র হয়,তখন শরীরের স্টেম সেলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার জেরে হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেশার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, ডায়েবিটিসের মতোন রোগের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ঘুমের অভাবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণও হতে পারে। কারণ শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা যায়। স্ট্রেস হরমোনের কারণে উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।

এখানেই মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, অনিদ্রার কারণে হার্টের সমস্যা বাড়ে। নিউ ইয়র্কের ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অনিদ্রা হার্টের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা কমে যায়।

নিউইয়র্কের ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে ৬ সপ্তাহ ধরে কয়েকজন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবককে প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা কম ঘুমাতে দেওয়া হয়। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের অভাবে স্টেম সেলের পরিবর্তনের পাশাপাশি শ্বেত রক্তকণিকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। গবেষণায় অংশ হিসেবে কিছু ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের প্রথম ছয় সপ্তাহের জন্য মোট ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে দেওয়া হয়। তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হলে রোগ প্রতিরোধক কোষগুলির সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমীক্ষা দেখা যায়, যারা ভাল ঘুমিয়েছেন তাদের রোগ প্রতিরোধক কোষ খুবই সুস্থ ছিল। আর যাদের কম ঘুমাতে দেওয়া হয়েছিল তাদের শরীরে সুস্থ কোষের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে অনেক কম লক্ষ্য় করা যায়।

সমীক্ষা অনুসারে, ঘুমের অভাবে ক্লান্তিভাব, ইনফ্লেমেটরির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা কমে গিয়েছে। অল্প চোট পেলে বা সংক্রমণের জন্য দ্রুত নিরাময় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সুস্থ থাকতে জীবনযাপনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)