Oral Care Tips: দাঁতের কালো দাগ দূর করতে রইল কিছু ভেষজ ও সহজ ঘরোয়া উপায়! ফল পাবেন গ্যারান্টি
সামান্য বিটনুন ও সরষের তেল মিশিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দাঁত ও মাড়িতে মাসাজ করতে হবে। এতে দাঁত খুব ভালো পরিষ্কার হয় এবং দাঁতের চকচকে ভাব ফিরে আসে।

দারুচিনি: একটুকরো দারুচিনি চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মাড়ি শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ নাশ হয়। দারুচিনি’র অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণে জীবাণু নাশ হয়। দাঁতব্যথাতেও দারুচিনি কার্যকরী। দারুচিনি পাউডার মধু মিশিয়ে মাড়িতে মাসাজ করা ভালো। এছাড়া দারুচিনি জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গল করা যেতে পারে।
লবঙ্গ: অ্যান্টিসেপটিক এজেন্ট ‘ইউজেনাল’ আছে লবঙ্গে। লবঙ্গ মুখে রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ হয় না।
যষ্টিমধু: যষ্টিমধু চিবিয়ে খেলে ডেন্টাল প্লাক হয় না। ঝকঝকে থাকে দাঁত। এতে আছে লিকোরিসিরিন, যা ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে। ফলে দন্তক্ষয় রোধ হয়।
তেজপাতা: তেজপাতার পাউডারে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।
পেয়ারাপাতা: পেস্ট করে দাঁত ও মাড়িতে মাসাজ করুন। দাঁত সাদা তো হবেই, সেই সঙ্গে মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখের দুর্গন্ধ এবং পায়োরিয়া সেরে যাবে।
তুলসীপাতা: তুলসিপাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়, ডেন্টাল ক্যাভিটি এবং শ্বাসের দুর্গন্ধ দূরে থাকে। কর্পূর: ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে।
হলুদ: মাড়ির ফোলা কমাতে হলুদ বাটার সঙ্গে সামান্য নুন ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ উপকারী।
নিম: প্রাকৃতিক টুথব্রাশ হিসাবে নিমের ডাল ব্যবহার করলে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়। নিম অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক। দাঁতের গোড়া শক্ত রাখে। নিম পাউডার, ত্রিফলা পাউডার ও সামান্য নুন মিশিয়ে টুথ পাউডার তৈরি করা যায়। দিনে একবার ব্যবহারে ডেন্টাল প্লাক হয় না।
সরষের তেল: সামান্য বিটনুন ও সরষের তেল মিশিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দাঁত ও মাড়িতে মাসাজ করতে হবে। এতে দাঁত খুব ভালো পরিষ্কার হয় এবং দাঁতের চকচকে ভাব ফিরে আসে। দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ দূরে রাখতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকারী।
আমলকী: কাঁচা আমলকী খেলে দাঁতে ক্ষয় ও প্লাক হয় না।
দাঁত সুন্দর রাখতে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি—
যাঁরা দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ভাজা খাবার, সফট ড্রিংকস এবং গরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।
একসঙ্গে খুব ঠান্ডা বা গরম খাবার অথবা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। এতে দাঁতের ক্ষতি হয়।
ব্রাশ না করে সকালের চা পান চলবে না।
যখন তখন মিষ্টি অথবা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেয়ে মুখ ধুতে ভুলে গেলে চলবে না। প্রত্যেকবার ভালো করে মুখ ধোওয়া দরকার।
দিনে একবার ব্রাশ করা যথেষ্ট নয়। অন্তত দু’বার ব্রাশ করুন। সঙ্গে অবশ্যই জিভ পরিষ্কার করা দরকার।
আরও পড়ুন: Rid Of Hives: আমবাতের সমস্যায় জেরবার! ত্বকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান এই ৪ প্রাকৃতিক উপায়ে
