Menstrual taboos: আচারের শিশি ছোঁয়া থেকে হেঁশেলে নিষেধাজ্ঞা, মাসিক নিয়ে যে সব রীতি আজও প্রচলিত ভারতীয় সমাজে…

Periods: সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অধিকাংশ মহিলাই কিন্তু এখনও পিরিয়ডস নিয়ে সচেতন নন। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচলিত কিছু সামাজিক ট্যাবুও

Menstrual taboos: আচারের শিশি ছোঁয়া থেকে হেঁশেলে নিষেধাজ্ঞা, মাসিক নিয়ে যে সব রীতি আজও প্রচলিত ভারতীয় সমাজে...
এখনও যে সব ট্যাবু প্রচলিত রয়েছে সমাজে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2022 | 8:47 PM

যুগের পর যুগ ধরে মাসিক নিয়ে একাধিক ট্যাবু, প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমাদের মধ্যে। বরং সেই তুলনায় সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদ্যোগ কিন্তু অনেকের মধ্যেই থাকে। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, মাসিক হলে পবিত্র স্থান যেমন ঠাকুরঘর, কোনও মন্দির-মসজিদ বা উপাসনালয় এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে রান্নাঘরে নিষেধাজ্ঞা, আচার স্পর্শ না করা, সাধারণ খাবার স্পর্শ না করা, চুলে জল না দেওয়া এসব একাধিক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে মেয়েদের উপরে। সেই সঙ্গে তুলসি গাছ স্পর্শ না করা, সহবাস না করা এসবও খুবই মামুলি ব্যাপার। আর সেই ধারা কিন্তু এখনও প্রচলিত। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেয়েরা যতই এগিয়ে আসুক না কেন মন থেকে বহু বিষয় অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। একাধিক, গল্প, উপন্যাস, সিনেমার পরও কিন্তু সেই ট্যাবু কাটানো যায়নি।

সেই সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন তাঁরা মাসিক হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ঋতুস্রাবের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কোনও রকম ধারণা ছিল না তাঁদের। কিন্তু ৩৫ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে খুব সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলেও কিছুটা জানতেন তাঁরা। এছাড়াও ৪৭.৪ শতাংশ মত মহিলা জানিয়েছেন, মাসিকের সময় তীব্র পেটে ব্যথা তাঁরা সকলেই অনুভব করেন। এবং এখান থেকে কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যাও এসেছে। যেহেতু প্রথমবার ঋতুস্রাব এবং কী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন সেই সম্পর্কে মহিলাদের কোনও ধারণা ছিল না, তাই পরবর্তীকালে তাঁদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকেই স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, যখন কেউ জানতে পারত যে তাঁদের মাসিক হয়েছে তখন কিন্তু তাঁদের একঘরে করে রাখার প্রবণতা থাকত। প্রায় ২৮ শতাংশ মহিলার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল।

তবে এখনও কিন্তু ৩২ শতাংশ মহিলা এমন রয়েছেন যাঁরা এই ঋতুস্রাব নিয়ে কোনও কথাই বলতে চাননি। যা কিছু প্রশন করা হয়েছে সবই তাঁরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মহিলারা যে সাধারণ এই শারীরবৃত্তীয় বিষয়টিকে এখনও লুকিয়ে রাখাই শ্রেষ্ট মনে করেন, এখনও স্যানটারি ন্যাপকিন কিনতে লজ্জা পান আবার এমনও বহু মানুষ আছেন যাঁরা কোনও রকম স্যানিটারি প্যাডও ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ নন- এতে কিন্তু ভারতীয় স্বাস্থ্য ও সমাজ ব্যবস্থার রুগ্ন দিকটিই প্রকাশ পায়। কিন্তু ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের উপর বারবার জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় কোনও রকম ট্যাবু মেনে চলার থেকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিন্তু ভীষণ ভাবে জরুরি। কারণ মেয়েদের যাবতীয় শারীরিক সমস্যা কিন্তু আসে এখান থেকেই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।