Brisk Walking: ১০ দিনের মধ্যে ওজন তো কমবেই, ব্লাড সুগার থেকে প্রেশার সবই কমবে এই ওয়াকিং এর গুণে
Health Tips: এমন ভাবে হাঁটতে হবে যাতে ঘাম হয়। কারণ ঘাম ঝরানো এই হাঁটার মূল উদ্দেশ্য। সপ্তাহে ১৫০-২০০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতে হবে। হাঁটতে যাওয়ার আগে জুতো নির্বাচন জরুরি

বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মত একগুচ্ছ সমস্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর মূল সমস্যা হল লাইফস্টাইল। রোজকার জীবনযাত্রায় অতিরিক্ত চাপ, ঠিক মতো খাওয়া না হওয়া, ঘুম না হওয়া এবং পারিপার্শ্বিক নানা চাপে বাড়ছে একাধিক সমস্যা। মাত্রাছাড়া ভাবে বাড়ছে ক্যানসারের মত জটিল অসুখও। আর তাই এক্ষেত্রে নিজেরযত্ন নিজেকেই নিতে হবে। কর্মজীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা, মানসিক চাপ আমাদের নিজেকে ভালবাসতে ভুলিয়ে দিচ্ছে।যে কারণে আমরা নিজেদের শরীরের প্রতিই যত্নশীল নই। একটানা বসে কাজ করে যাওয়া, ঠিক মতো খাবার না খাওয়া, বিরিয়ানি-পরোটার মত তেল জাতীয় খাবার অত্যধিক পরিমাণে খাওয়াতেই বাড়ছে সমস্যা। দিনের পর দিন এই অভ্যাস চলতে থাকায় সমস্যা একটা সময়ে এমন পর্যায়ে যায় যে যখন চিকিৎসা, ওষুধেও কোনও কাজ হয় না। তাই জোর দিতে হবে রোজকারের জীবনযাত্রায়।
নিজেকে ভালবাসার প্রাথমিক শর্তই হল নিজের জন্য সময় বের করা। প্রতিদিনের শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিন। অন্তত ৩০ মিনিট হেঁটে আসুন। সঙ্গে ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করতে পারলে ভাল, না করলেও অসুবিধে নেই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ব্রিস ওয়াকিং। অর্থাৎ হনহনিয়ে হাঁটুন। এক্ষেত্রে নিজের শরীর বুঝে হাঁটতে হবে যাতে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম ঝরে যায়। এমন ভাবে হাঁটতে হবে যাতে ঘাম হয়। কারণ ঘাম ঝরানো এই হাঁটার মূল উদ্দেশ্য। সপ্তাহে ১৫০-২০০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতে হবে। হাঁটতে যাওয়ার আগে জুতো নির্বাচন জরুরি। সব সময় চেষ্টা করবেন ভাল গ্রিপ দেওয়া বাঁধা জুতো পরতে। এতে হাঁটার স্পিড ঠিক থাকে। তবে সব চিকিৎসক আবার এই কথা বলছেন না। তাঁদের মতে সপ্তাহে পাঁচদিন নিয়ম করে হাঁটলেই হবে।
প্রথম থেকে খুব জোরে হাঁটতে য়াবেন না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধীরে ধীরে হাঁটার স্পিড বাড়ান। প্রথমেই ৩০ মিনিট হাঁটতে অসুবিধে হলে ১৫ মিনিট হেঁটে বিশ্রাম নিন। আবার তারপর হাঁটুন। হেলেদুলে হেঁটে কোনও লাভ নেই। তবে হেঁটে ফেরার পথে বিরিয়ানি, তেলেভাজা বা মিষ্টির লেভ করলে চলবে না। তাহলে কোনও লাভ নেই। নিজের হাঁটায় গতি আনতে আরও যা কিছু করবেন-
নিয়মিত ব্রিস ওয়াকিং করলে নিজের শরীরে পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ে। কাজে এনার্জি পাওয়া যায়।
ঘাম ঝরলেই মেটাবলিজম ভাল হবে আর তখন কিন্তু মেদও ঝরবে।
রোজ হাঁটা অভ্যাস হয়ে গেলে হজমের সমস্যা হবে না। সুগার, কোলেস্ট্রল সবই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সকালে হাঁটতে পারলে সবথেকে ভাল। নইলে অফিস থেকে ফেরার পথে একটা বা দুটো স্টপেজ আগে নেমে হেঁটে আসুন। এতে ফেরার পথে বাজার হবে আর হাঁটাও হয়ে যাবে।
