কীভাবে হাঁটলে ওজন কমবে দ্রুত?
যে কোনও বয়সের মানুষ হেঁটে ওজন কমাতে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। তার কারণ এটাই সবথেকে সহজ ব্যায়াম।
ভোরে অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা (health care)। যার পোশাকি নাম মর্নিং ওয়াক। অথবা কাজের শেষে সন্ধেবেলা জিমে গিয়ে হাঁটা অভ্যেসের রুটিন হয়তো অনেকের রয়েছে। হাঁটার মাধ্যমে সহজেই ওজন কমানো যায়। কিন্তু হেঁটে ওজন কমাতে গেলে কিছু সাধারণ নিয়ম মনে রাখতেই হবে। সেগুলো জানা থাকলে হেঁটে ওজন কমানো আরও সহজ হবে। যে
কোনও বয়সের মানুষ হেঁটে ওজন কমাতে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। তার কারণ এটাই সবথেকে সহজ ব্যায়াম। হাঁটতে গেলে আলাদা করে কোনও জায়গার ব্যবস্থা করতে হয় না। এতে কার্ডিও এক্সসারসাইজও হয়। আবার হাড় ভাল থাকে। একই সঙ্গে কমে ওজন। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম না মানলে হাঁটার কোনও সুফল পাবেন না।
আরও পড়ুন, প্রতিদিন দৌড়নোর শারীরিক সুফল কী কী?
১) হাঁটলে ওজন কমে একথা ঠিক। কিন্তু হেঁটে ক্যালোরি বার্ন করাতে সময় লাগে। প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলে কিন্তু আপনার উদ্দেশ্যা সাধন হবে না। আপনাকে সময় বাড়াতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতেই হবে। তবে টানা না হেঁটে ছোট একটা বা দুটো বিরতি নিয়ে হাঁটতে পারেন।
২) যদি হেঁটে ওজন কমাতে চান, আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। ধরা যাক, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার রুটিন ঠিক করলেন। প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর তা ১০ মিনিট করে বাড়াতে হবে। ধীরে ধীরে প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটার অভ্যেস তৈরি করুন।
আরও পড়ুন, অসুখ এক হলেও চিকিৎসা পদ্ধতি এবং রোগীরা কিন্তু আলাদা: চিকিৎসক রবীন চক্রবর্তী
৩) দিনে বা রাতে কখন হাঁটলে ওজন দ্রুত ঝরবে, এর নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল দার্নাল অব এন্ডোক্রিনোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা সূর্যের আলোতে প্রাতঃরাশ খাওয়ার আগে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছএন। কারণ সূর্যের আলোতে আলাদা মোটিভেশন পাওয়া যায়। আর প্রাতঃরাশ খাওয়ার আগে শরীর ক্যালোরি বার্ন মুডেই থাকে। ফলে সে সময় হাঁটলে এই সুবিধেগুলো কাজে লাগাতে পারবেন।
৪) হাঁটার সময় হাতের সঞ্চালন জরুরি। এতে একদিকে যেমন আপার বডি এক্সসারসাইজ হবে। তেমনই ওজন কমবে দ্রুত।
আরও পড়ুন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কোন যোগাসন করবেন?
৫) আপনি একদিকে নিয়ম করে হাঁটছেন, অন্যদিকে দেদার তেল মশলা যুক্ত খাবার খাচ্ছেন, এই রুটিনে থাকলে কিন্তু ওজন কমবে না। অর্থাৎ হাঁটার পাশাপাশি ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। কম সময়ে ওজন কমাতে গেলে ফল এবং শাকসব্জি রাখুন ডায়েটে। সঙ্গে থাকুক মাছ, মাংস, ডিমের মতো প্রোটিন। তবে ঘরোয়া রান্না মাস্ট। দিনে প্রচুর জলও খেতে হবে।