Men Vasectomies: বান্ধবী বা স্ত্রীদের গর্ভবতী করতে চান না, তাই এই দেশে ভ্যাসেকটমির চাহিদা বেড়েছে পুরুষদের
Banning abortion : নিষিদ্ধ গর্ভপাত আইন। বান্ধবীরা গর্ভবতী হন চান না যুবকেরা। আর তাই বাড়ছে স্থায়ী বন্ধ্যাত্বকরণের হিড়িক
৫০ বছর পর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার খুইয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহিলারা। ১৯৭৩ সালের বিখ্যাত রো বনাম ওয়েড মামলার রায় খারিজ করে আমেরিকায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট (America Supreme Court)। সেই নিয়ে চলছে জোর বিক্ষোভ। এরপর থেকেই আমেরিকায় দল দলে বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য লাইন দিয়েছেন পুরুষরা। সব ক্লিনিকেই বাড়ছে ভ্যাসেকটমি করার হিড়িক। নিউ ইয়র্কের ইউরোলজি স্পেশ্যালিস্ট ড. অ্যালেক্স শটেইনশলিউগার জানিয়েছেন, নতুন এই আইন প্রণয়নের পর ভ্যাসেকটমির অনুরোধে উপচে পড়ছে ক্লিনিক। সেই সঙ্গে তিনি জানান, স্থায়ী গর্ভনিরোধের বিকল্প হিসেবে পুরুষরা বেছে নিয়েছেন এই ভ্যাসেকটমি। প্রতি মাসে অন্তত ৬০ টিরও বেশি অনুরোধ আসছে। গত ১০ দিনে এখনও পর্যন্ত ৭২ জন পুরুষ বন্ধ্যাত্বকরণ করিয়েছেন। এমনও অনেকেই আছেন যাঁরা ৩০ দিন অপেক্ষা করতেও রাজি নন। আর এই যাঁরা ভ্যাসেকটমি করাতে আসছেন তাদের মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ অল্পবয়সী।
ওহিওর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক গত সপ্তাহে জানিয়েছে, আগের চেয়ে বেশি বন্ধ্যাত্বকরণের অনুরোধ আসছে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মুখপাত্রের বক্তব্য, সাধারণত পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকরণের অনুরোধ দিনে চারটি আসে। এখন সেই আবেদনের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। নতুন আইন প্রকাশ্যে আসার পর মঙ্গলবার পর্যন্ত রোজ ৯০ জন মানুষ নতুন করে আবেদন করেছেন। দ্য ইউনিভার্সিটি হসপিটালস অফ ক্লিভল্যান্ড ওহিও জানিয়েছে,গর্ভপাত আইন সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করার পর আগের চেয়ে বেশি পুরুষ খোঁজখবর নিচ্ছেন। যে কারণে খুশি চিকিৎসকদের একাংশও। গত সপ্তাহ থেকে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে প্রায় ৯০০ শতাংশ।
৩০ বছরের টাম্পার ফিগুয়েরো যেমন বলেন, ‘আমি ঠিক আছি। আমার বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কও ঠিকঠাক। কিন্তু কোনও দিন সন্তান চাই না। আর তাই এখন ভ্যাসেকটমি করাতে চাই’। ২৯ বছরের এরিক নিসি যেমন বলেন, ৩৩ বছরের বান্ধবী আমান্ডা ওমেলিয়ানের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁরা সব সময় গর্ভনিরোধরক ব্যবহার করেন। তবে এবার স্থায়ী সমাধান চাইছেন। আর তাই তিনি ভ্যাসেকটমি করাতে চান। নিসি আরও বলেন, তিনি চান না কোনও ভাবেই তাঁর বান্ধবীর অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ হোক এবং সেই নিয়ে তাঁকে চাপে পড়তে হয়। তবে গর্ভপাতের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা আরও ১০০ বছর পিছিয়ে যাচ্ছি’। এমন সিদ্ধান্ত নিতে পেরে আনন্দিত নিসির মত যুবকেরা।
১৯৭৩ সালে ‘রো বনাম ওয়েড’ মামলায় আদালত গর্ভপাতকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়কে খারিজ করে গর্ভপাতের বৈধতা দেওয়ার ক্ষমতা প্রদেশগুলির হাতে ছেড়ে দিয়েছে। গর্ভপাতের সংবিধানিক অধিকার খারিজ করার পক্ষে মত দেন ৬ জন আইনজীবী এবং বিপক্ষে ৩ জন। এরপর আমেরিকার বাকি প্রদেশেও গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চাপবে আরও কিছু বিধি-নিষেধ।