AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

High Androgen: মুখে অত্যধিক লোম, অনিয়মিত পিরিয়ড, শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য, কি করণীয়?

Tips To Decrease High Androgen Level In Women: মহিলাদের মধ্যে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখান থেকে বেশ সমস্যা হয়। আর তাই বাদাম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি করে খান

High Androgen: মুখে অত্যধিক লোম, অনিয়মিত পিরিয়ড, শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য, কি করণীয়?
জানুন কেন হয় এই সমস্যা
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 12:53 PM
Share

আমাদের শরীরে যতগুলো সেক্স হরমোন রয়েছে তার মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন হল এই হরমোনের একটি গ্রুপ। যা সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে প্রকাশ পায়। প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় এই হরমোনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের শরীরেই তৈরি হয় অ্যান্ড্রোজেন হরমোন। পুরুষদের শরীরে সবচেয়ে বেশি অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হয়, সবচেয়ে সাধারণ অ্যান্ড্রোজেন হল টেস্টোস্টেরন। মহিলাদের মধ্যে যদি অ্যান্ড্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে সেখান থেকে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। এই হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরে ব্রণ, লোমের আধিক্য, অনিয়মিত পিরিয়ড, বন্ধ্যাত্ব, স্তনের আকার পরিবর্তন সহ-একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হল মহিলাদের মধ্যে কী ভাবে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা মাত্রা বৃদ্ধি পায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। তবে কী ভাবে বাড়াবেন এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ?

শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবথেকে ভাল কাজ করে ফ্ল্যাক্স সিডস। ফ্ল্যাক্সসিডের মধ্যে লিগানন নামের একটি যৌগ থাকে। যা আমাদের টেস্টোস্টেরন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে। তাই রোজ খান ফ্ল্যাক্স সিডস।

বাদামের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্ড্রোজেন। বাদাম আর আখরোটের মধ্যে থাকে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি-এর মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মহিলাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি-এর পাতার মধ্যে থাকে এপিগালোকাটেগালেট, যা আমাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে রাখে।

শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বাড়লে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই রোজ নিয়ম করে দারুচিনির জল খেতে পারেন। এতে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বজায় থাকে। দারুচিনি আর পুদিনা পাতার চা-ও খেতে পারেন। এতে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও ঠিক থাকে।

মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। স্যামন, ম্যাকারেল এসব মাছও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভাল উৎস।

শরীরে যদি সামান্যতম অসুবিধে দেখা দেয় অর্থাৎ অনিয়মিত বিরিয়ডস, ত্বক খারাপ হয়ে যাওয়া, ব্রণ হওয়া, অত্যধিক চুল পড়া তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ খাবেন। নইলে বাড়তে পারে বিপদ।