Tear Gas Effects: কাঁদানে গ্যাসে চোখ-মুখ জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে? কী ভাবে বাঁচবেন?
Tear Gas: কেন চোখে জ্বালা করে কাঁদানে গ্যাসে? সাধারণত ফিনাসিল ক্লোরাইড এবং সিএস গ্যাস এই দুটিকেই কাঁদানে গ্যাস বা টিয়ার গ্যাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পিপার স্প্রে-কেও টিয়ার গ্যাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

অশান্তি আন্দোলনের আবহে অনেক সংখ্যক মানুষের জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে বহু ক্ষেত্রেই কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে দেখা যায়। একে টিয়ার গ্যাসও বলা হয়।
এই কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটালে গল গল করে বেরিয়ে আসে রাসায়নিক ধোঁয়া। সেই ধোঁয়া চোখে গেলেই অবস্থা খারাপ। শুরু হয়ে যায় চোখ জ্বালা। চোখ ফুলে লাল হয়ে যায়, এমনকি শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়, ত্বকেও প্রভাব পড়তে পারে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এই পথ হামেশাই অবলম্বন করে পুলিশ, সেনা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
কেন চোখে জ্বালা করে কাঁদানে গ্যাসে?
সাধারণত ফিনাসিল ক্লোরাইড এবং সিএস গ্যাস এই দুটিকেই কাঁদানে গ্যাস বা টিয়ার গ্যাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পিপার স্প্রে-কেও টিয়ার গ্যাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
টিয়ার গ্যাস বা কাঁদানে গ্যাসের আরেক নাম ক্লোরোপিকরিন। কয়েক ধরনের রাসায়নিক যৌগের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় এই গ্যাস। বাস্তবে এটি কোন গ্যাস নয়। বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের মিহি গুঁড়ো বা পাউডার এবং তরলের অতি ক্ষুদ্রকণার সমষ্টি নিয়ে এই গ্যাস গঠিত হয়। এই গুঁড়োয় ক্ষারজাতীয় রাসায়নিক পদার্থ থাকে। ওসি, সিএস, সিআর, সিএন বা ফিনাসিল ক্লোরাইড, ননিভ্যামাইড, ব্রোমোয়াসিটন, জাইলিল ব্রোমিড, পেঁয়াজ থেকে সংগৃহীত সাইন-প্রোপ্যানেথিয়াল-এস-অক্সাইড যৌগের সমন্বয়ে এই টিয়ার গ্যাস তৈরি করা হয়।
কী কী হতে পারে এই গ্যাসের প্রভাবে?
কাঁদানে গ্যাসের সংস্পর্শে এলে আপনার শরীরের স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুই রকম প্রভাব পড়তে পারে। এই গ্যাসের প্রভাবে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা, চোখের গুরুতর আঘাত বা ত্বকের সমস্যা দেখা যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে, এর প্রভাবে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা-যন্ত্রণার অনুভূব হয়। এমনকি এই গ্যাসের প্রভাবে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে।
এই রাসায়নিকের প্রভাবে চোখের কর্নিয়ার স্নায়ুর উপরে প্রভাব পরে। ফলে তা আপনার দৃষ্টিশক্তির উপরে প্রভাব ফেলে। চোখে ব্যথা হয়, চোখ দিয়ে জল পড়ে। তবে মনে রাখবেন বদ্ধ জায়গায় যদি বেশি টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তা হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এই রকম পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করা উচিত?
কাঁদানে গ্যাস যাতে আপনার শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করতে না পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করুন। যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস-প্রভাবিত জায়গা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করুন। চোখে কন্টাক্ট লেন্স থাকলে তা খুলে রাখুন।
ধোঁয়া চোখে গেলে আগে ভাল করে জলের ঝাপটা দিন। হাত-পা, মুখ ভাল করে জলে ধুয়ে নিন। এক বার নয়, বার বার জলের ঝাপটা দিন। যেসব জামাকাপড় ওই রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসবে তা ভাল করে সাবান দিয়ে না ধুয়ে কখনই ব্যবহার করবেন না। এরপরেও যদি শরীরে কোনও অস্বস্তি থাকে তাহলে আর দেরি করবেন না, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
