Gall Bladder Stone: গল ব্লাডার হলে কিংবা পিত্তথলিতে পাথর জমলে কী খাবেন, কেমনভাবে চলবেন?
Gall Bladder Stone: গল ব্লাডারে পাথর জমলে হঠাৎ করেই পিঠে ব্যথা শুরু হতে পারে। সেই সঙ্গে গা বমিভাব হতে পারে। সেই ব্যথা থেকে নিস্তার মেলে না অনেক সময়। হঠাৎ-হঠাৎ পিঠে ব্যথা শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার জন্য। ফলে অবিলম্বে সেটাই করাতে হবে। গলব্লাডার স্টোন হলে কী-কী করবেন না, কী-কী খাবেন না?
গলব্লাডার কিংবা পিত্তথলিতে পাথর জমে কেন? এর একাধিক কারণ থাকতে পারে। দীর্ঘক্ষণ না খেলে, প্রেগন্যান্সির পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ গলব্লাডারে জমতে পারে পাথর। এই পাথর জমলে অনেকরকমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রথম জানতে হবে কী-কী সমস্যা হচ্ছে। গল ব্লাডারে পাথর জমলে হঠাৎ করেই পিঠে ব্যথা শুরু হতে পারে। সেই সঙ্গে গা বমিভাব হতে পারে। সেই ব্যথা থেকে নিস্তার মেলে না অনেক সময়। হঠাৎ-হঠাৎ পিঠে ব্যথা শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার জন্য। ফলে অবিলম্বে সেটাই করাতে হবে। গলব্লাডার স্টোন হলে কী-কী করবেন না, কী-কী খাবেন না?
১. প্রথমত যতক্ষণ না পিত্তথলি বাদ যাচ্ছে, ততক্ষণ অতিরিক্ত পরিমাণে মাছ-মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খেলেও মেপে খেতে হবে। একসঙ্গে দু-তিনটে মাছ খেলে বিপদ হতে পারে। মাংসের হাড় চিবিয়ে খাবেন না।
২. পিত্তথলি বাদ না যাওয়া পর্যন্ত মশলা এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। মশলা খেলে হঠাৎই ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে।
এই খবরটিও পড়ুন
৩. প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে পারেন। খেতে পারেন সিদ্ধ ভাত কিংবা আলু সিদ্ধ। রুটি, লুচি, পরোটা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। এই তিনটি খাবারে গলা বুক জ্বালা করতে পারে।
৪. দেরি করে একেবারেই খাবেন না। কোনওভাবেই যাতে খিদের তারনা শুরু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। যতক্ষণ না অস্ত্রোপ্রচারে পিত্তথলি বাদ যাচ্ছে, ঘড়ির কাঁটা খাবার খেতে হবে।
৫. এই সময় বেশি পরিমাণে চা-কফিও খাবেন না। তেষ্টা পেলে শুধু জল খান। কোল্ড ড্রিঙ্ক একেবারেই খাবেন না। কোন ধরনের প্যাকেট করা ফলের জুস খাবেন না।
৬. রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশ্রামে থাকুন যত পারবেন। অনিয়ম করলেই কিন্তু বিপদ। আর পিত্তথলিতে পাথর হলে অস্ত্রোপচার ফেলে রাখবেন না। তাতে আরও সমস্য়া তৈরি হবে। পিত্তথলি ফেটেও যেতে পারে।