Abdominal Pain: মাঝরাতে হঠাৎ করে মারাত্মক পেটে ব্যথা? কোন রোগের লক্ষণ, জানুন
Stomach Pains: অনেক রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে পেটে ব্যথা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এই লক্ষণকে অবহেলা করলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কী-কী কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে, তা আগে থেকে জেনে রাখা দরকার।

রাতদুপুরে হঠাৎ করে পেটে ব্যথা। গ্যাসের ওষুধ খেয়েও কমছে না। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। ইনজেকশন দিয়ে ব্যথা কমালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল গলব্লাডারে পাথর জমেছে। এমন অনেক পেটে ব্যথা রয়েছে, যা বড় রোগের উপসর্গ। ঠিক যেমন অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকলে পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আবার অনেক রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে পেটে ব্যথা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এই লক্ষণকে অবহেলা করলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কী-কী কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে, তা আগে থেকে জেনে রাখা দরকার।
গ্যাস-অম্বল: অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তেল-ঝাল-মশলা, চর্বি জাতীয় খাবার যত বেশি খাবেন এবং অলস জীবনযাপন করলেই বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। আর গ্যাস-অম্বল হলে পেটে ব্যথা, বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দু’দিন ছাড়া এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
আলসার: পেটের উপরের দিক জ্বালাভাব, পেটের মধ্যিখানে ব্যথা, কামড়ে ধরা, মাঝে মাঝে চোঙা ঢেকুর দেওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে এড়িয়ে যাবেন না। এগুলো পেটে আলসারের লক্ষণ। তাই এই উপসর্গগুলো না এড়িয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গলব্লাডার: গলব্লাডারে পাথর তৈরি হলে পেটে ব্যথার উপসর্গ দেখা দেয়। গলব্লাডারে পাথর হলে মাংস বা তেল মশলা জাতীয় খাবার খেলেই তখন পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। গলব্লাডারে পাথর হলে মূলত পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা আপনার ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে গলব্লাডারে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই পেটে ব্যথা ফেলে রাখা উচিত নয়।
ডাইভার্টিকুলাইটিস: পেটের নিচের বাঁ দিকে হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হলে বুঝবেন ডাইভার্টিকুলাইটিসের কারণে এমনটা হচ্ছে। কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পেটে ব্যথার পাশাপাশি জ্বর, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্যে বা ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। তাই এই ধরনের যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে, ফেলে না রেখে দ্রুত ডাক্তার দেখান। অল্পতেই রোগ ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করা সুবিধা। তাছাড়া এতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠাও যায়। কিন্তু জটিলতা বাড়লে সেরে উঠতেও সময় লাগবে।
