Cough Syrup Deaths: কফ সিরাপের মান উন্নত করতে অবিলম্বে ভারতকে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ WHO-র
Health Tips: 'কাশির ওষুধ বা সিরাপ কখনই প্রেসক্রিপশন ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও কফ সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যুতে ফের আরও একবার বিতর্কের শিরোনামে ভারতের তৈরি কফ সিরাপ (Cough Syrup)। উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি অনুসারে ভারতের ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি এই কফ সিরাপ খেয়েই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ শিশুর। নয়ডার সংস্থা ম্যারিয়ন বায়োটেকের তৈরি Doc-1 Max Syrup নিয়ে বিতর্কে তদন্ত চলছে ভারতেও। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Drugs Controller General of India) পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উজবেকিস্তানের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওষুধে সত্যিই কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করছে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগাইজেশন।
গত বছরে গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তানে ৩০০-এর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই কফ সিরাপ খেয়ে। এদের অধিকাংশেরই বয়স ৫ বছরের কম। পরবর্তীতে দেখা দিয়েছে এই ওষুধের মধ্যে থাকা বিষ সরাসরি প্রভাব ফেলেছে শিশুদের কিডনিতে। আর এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও দায়ী করেছে ভারতকে। সেই সঙ্গে ভারতকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ( WHO)পরামর্শ অবিলম্বে কফ সিরাপের মান উন্নত করা হোক। সেই সঙ্গে দেশের আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছে WHO।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে নিউজ নাইন লাইভের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইন্টারন্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় যেমন জানিয়েছেন, দেশের সরকারকেও বিষয়টির মূলে যেতে হবে। সেই সঙ্গে সকল ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণও করতে হবে। বিশেষত ওষুধ তৈরিতে যে সব যৌগ ব্যবহার করা হচ্ছে তার দিকেও নজর দিতে হবে। সঠিক যৌগের সংমিশ্রণ হলে তবেই গুণসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে নিউজ নাইন লাইভের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইন্টারন্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় যেমন জানিয়েছেন, দেশের সরকারকেও বিষয়টির মূলে যেতে হবে। সেই সঙ্গে সকল ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণও করতে হবে। বিশেষত ওষুধ তৈরিতে যে সব যৌগ ব্যবহার করা হচ্ছে তার দিকেও নজর দিতে হবে। সঠিক যৌগের সংমিশ্রণ হলে তবেই গুণসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। এই কফ সিরাপগুলিতে উচ্চমাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া গিয়েছিল। যা বিষাক্ত রাসায়নিক হিসেবে পরিচিত এবং মূলত কলকারখানা গুলিতেই ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিফ্রিজ এজেন্ট হিসেবেই তা জনপ্রিয়। ওষুধে কোনও ভাবেই এই সব উপাদান থাকার কথা নয়। সেই সঙ্গে চিকিৎসক চট্টোপাধ্যায় আরও একটি মন্তব্য করেছেন তা হল, ‘কাশির ওষুধ বা সিরাপ কখনই প্রেসক্রিপশন ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও কফ সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজন অনুভব করলে তখনই কফ সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কী রকম কফ সিরাপ খাওয়া উচিত তা তিনিই প্রেসক্রিপশনে লিখে দেবেন।’