AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Winter Health Care: শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা কেন বাড়ে? বিশেষজ্ঞদের থেকে জানুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টিপস

শীতকাল আসছে। আর শীতকালে কিছু মানুষের শরীরে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এটি খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের অভাবের কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা শীতকালে রক্তে শর্করার মাত্রা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

Winter Health Care: শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা কেন বাড়ে? বিশেষজ্ঞদের থেকে জানুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টিপস
শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা কেন বাড়ে? বিশেষজ্ঞদের থেকে জানুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টিপসImage Credit: Pinterest
| Updated on: Oct 24, 2025 | 5:27 PM
Share

এখনও পাকাপাকি হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেনি। শীতকাল আসছে। এই সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্টাইল পরিবর্তিত হয়, যার ফলে কিছু মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে শরীরের বিপাকীয় হার কমে যায়। এই সময় মানুষ ব্যায়ামও কম করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়। শীতে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণও হতে পারে। তাই, কয়েকটি বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

দিল্লির একজন সিনিয়র চিকিৎসক ডক্টর কমলজিৎ সিং জানান যে, শীতকালে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের এই সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। কম কার্বযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি বা ভাজা খাবার কমিয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। শীতকালে অনেকে জল কম খান। এমন অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত তাঁদের সুগার লেভেল পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি আপনার সুগার লেভেল বেড়ে যায়, তা হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

কোন লক্ষণগুলির দিকে মনোযোগ দিতে হবে?

ডক্টর কমলজিৎ জানান, যদি কোনও ব্যক্তি ঘন ঘন প্রস্রাব করেন, কারও অতিরিক্ত তেষ্টা পায় এবং হঠাৎ ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির মতো লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তা হলে এগুলি শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির একটি লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব়্যান্ডম ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা উচিত। তা হলে HbA1c পরীক্ষা করাতে হবে। যা গত কয়েক মাস ধরে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা প্রকাশ করবে। আপনার চিকিৎসক সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন। এই সময়ে, খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে কোনও অবহেলা করা চলবে না। মিষ্টি এড়িয়ে যেতে হবে এবং আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও ব্যায়াম করতে হবে। যদি বাইরে যাওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে বাড়িতে ব্যায়াম করতে হবে।

নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে

  • যদি কারও সুগারের সঙ্গে ব্লাড প্লেশারও থাকে, তা হলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া জরুরি।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমোতে হবে।
  • মানসিক চাপ নেবেন না।
  • ব্যায়ামের পাশাপাশি যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করতে হবে।