আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে মানুষের শরীরকে নানা রকমের রোগের হাত থেকে বাঁচাতে নিম পাতাকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে। যদিও, এমনটা অবিশ্বাস করার কোনও কারণই নেই। কারণ, এই গাছটির প্রতিটি অংশ, তা পাতা হোক, কি ডাল, এমনকি নিম ফুলও নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিম পাতা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকর গঠনের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্বন্ধে নানান বিশেষজ্ঞের নানান ধরনের মতামত আছে। কিন্তু তার আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা হল, কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে টানা এক মাসের বেশি নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে শরীরের উপকার হওয়ার থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিন্তু টানা এক মাস, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে যদি ১ থেকে ২ টো নিম পাতা খাওয়া যায় তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই করতে হবে না।
ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে:
নিম পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে দেহের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা বেজায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে:
কখনও খাবারের মাধ্যমে, তো কখনও অন্য নানা ভাবে আমাদের শরীরে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলিকে যদি ঠিক সময়ে শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বিপদ! তাই তো প্রতিদিন নিম পাতা খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানে মজুত রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান, যা এইসব টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়।
পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে:
বাঙালি মানে যে গ্যাস-অম্বল রোজের সঙ্গী, সে নতুন কোনও কথা নয়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতা খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র পাকস্থলিতে উপস্থিত খারাপ ব্যাকটেরিয়ারা সব মারা পরে। ফলে একদিকে যেমন পেটে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে:
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া শুরু করলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে টক্সিক উপাদানেরাও বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়েই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…