World Brain Tumour Day 2022: লেগেই রয়েছে মাথাব্যথা, কমছে দৃষ্টিশক্তিও! অবহেলা না করে এখনই সচেতন হন, হতে পারে টিউমার
Brain Tumour: খিঁচুনি, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া, কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া, চোখে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি, ভারসাম্যহীনতা, অস্বাভাবিক আচরণ, স্মৃতিলোপ, বার বার ভুলে যাওয়া এই সমস্ত কিছুই হতে পারে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

টিউমার মানেই অনেকে ধরে নেন সাক্ষাৎ মৃত্যু। ব্রেন টিউমার হলে তো কথাই নেন, মৃত্যু তাহলে অবধারিত। টিউমার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শরীরে যে কোনও কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকেই বলা হয় টিউমার। ব্রেন টিউমার হল মস্তিষ্কের কোনও কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। বা মস্তিষ্কের মধ্যে কোনও কারণে বিভিন্ন কোষ জটি পাকিয়ে গেলে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে ব্রেন টিউমার। ব্রেন টিউমারের অনেক রকম প্রকার ভেদ রয়েছে। কিছু থাকে ম্যালিগন্যান্ট, কিছু থাকে নন ক্যানসার। তবে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সমান নয়।
লক্ষণ
ব্রেন টিউমারের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা। আর তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। মাথা ব্যাথার সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তিতেও সমস্যা হয়। এছাড়াও হঠাৎ মাথায় চাপ অনুভব করা, সকালের দিকে তীব্র মাথা ব্যথা, ঘুম থেকে ওঠার সময় মাথা ঘোরানো , বমি বমি ভাব, ডবল ভিশন এই সব সমস্যাও থাকে।
টিউমারের অবস্থানের উপর নির্ভর করে বাকি সব সমস্যা আসে। খিঁচুনি, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া, কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া, চোখে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি, ভারসাম্যহীনতা, অস্বাভাবিক আচরণ, স্মৃতিলোপ, বার বার ভুলে যাওয়া এই সমস্ত কিছুই হতে পারে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ। ব্রেন টিউমার যদি তার আয়তনের তুলনায় বড় হয়ে যায় তখন তা চাপ ফেলে মস্তিষ্কে। আর টিউমার খুলির মধ্যে থাকায় তা প্রসারণের জন্য জায়গা পায় না। এভাবেই টিউমার মস্তিষ্কের উপর চাপ দিতে থাকে। যে কারণে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, দৃষ্টিশক্তি হারানো এবং কিছুসময় রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনির মত সমস্যা হলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ব্রেনের স্ক্যান এবং এমআরআই করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। টিউমারের অবস্থান নির্নয় করতে এবং অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা কতটা তা বুঝতেই আগে এই সব পরীক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসা
সাধারণত ব্রেন টিউমার হলে অপারেশনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সিদ্ধান্ত একান্তই চিকিৎসকের। টিউমারের আকার, অবস্থান, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা বিচার করে তবেই অপারেশনের দিকে এগোন চিকিৎসকেরা। সব সময় যে সার্জানির প্রয়োজন হয় এমনও নয়। কাজ হয় ওষুধের। আবার অপারেশনের পর অনেকের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি থাকে। সব কিছুই নির্ভর করে স্বাস্থ্যের উপরে। তাই এই যে কোনও লক্ষণ থাকলে ফেলে না রেখে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান, পরামর্শ নিন। সেই মতো চিকিৎসা শুরু করুন। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কোনও টোটকা কিংবা আর্য়ুবেদ কাজে না লাগানোই শ্রেয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
