Weight Loss Drink: ব্রেকফাস্টে এই ৫ জুস খেলে ওজন যেমন কমবে তেমনই কমবে পেটের মেদও
Vegetable Juice For First Weight Loss: বিটের জুস স্বাস্থ্যরক্ষায় খুব ভাল সাহায্য করে। বিটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি
বর্তমানে ওবেসিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। ওজন বাড়লে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের মত সমস্যা বাড়ে। ডায়াবেটিস হোক বা উচ্চরক্তচাপ কোনওটিই সম্পূর্ণ সেরে যেতে পারে না। ডায়েট, ওষুধ এসবের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। এছাড়াও জীবনযাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। আজকাল সব বয়সের সব মানুষের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। এর জন্য মূল কারণ হল পুষ্টির অভাব। আর তাই প্রথমেই নজর দিতে হবে রোজকার খাবারের দিকে। সেই খাবারের মধ্যে যাতে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি থাকে সেইদিকেও খেয়াল রাখুন। এছাড়াও যে ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন তার সমপরিমাণ ঝরিয়েও ফেলতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরিই এই স্থূলতার অন্যতম প্রধান কারণ।
ওজন বাড়ে অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করার ফলেই। আর তাই রাতারাতি এই ওজন একেবারেই ঝরিয়ে ফেলা যায় না। কিংবা এর কোনও শর্টকার্টও নেই। নিয়মিত ভাবে ডায়েট, শরীরচর্চা এসব করতেই হবে। চর্বি কমাতে বেশ কিছু সবজির জুস খুবই কার্যকরী। ব্রেকফাস্টে রোজ খেলে ওজন তো কমবেই সেই সঙ্গে ঝরবে পেটের নাছোড়বান্দা চর্বিও।
গাজরের জুস- গাজরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোজকার পুষ্টির চাহিদা মেটায়। গাজরের মধ্যে ক্যালোরি খুব কম, রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যার ফলে গাজর হজম হয় তাড়াতাড়ি সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। টানা ৬ সপ্তাহ যদি ৫০ এমএল গাজরের জুস খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ওজন কমবেই।
বাঁধাকপির রস- বাঁধাকপির রস পেট ফোলা, বদহজম সহ অনেক সমস্যার সমাধান করে। তাই পাচনতন্ত্র পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। বাঁধাকপির মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই বাঁধাকপির রস খাওয়া যাবে না।
বিট রস- বিটের জুস স্বাস্থ্যরক্ষায় খুব ভাল সাহায্য করে। বিটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ফাইবার থাকে। ক্যালোরি থাকে একেবারেই কম। আর তাই বিটের জুস বানিয়ে নিতে পারেন। তার আগে সঠিক রেসিপি দেখে নিতে কিন্তু ভুলবেন না।
লাউ- লাউয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। লাউ যেম অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে তেমনই ওজন কমাতেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আর তাই লাউয়ের জুস বানিয়ে খেতেও পারেন।