Chronic Kidney Disease: কেন মহিলাদের মধ্যেই ক্রনিক কিডনির সমস্যা বেশি হয়? এই সব লক্ষণ দেখলে সচেতন হন আজই…
Kidney Problem And Women Health: নিজেদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে সচেতন নন মহিলারা। যা কিন্তু কিডনির সমস্যার প্রধান কারণ।

Women Health: ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে সেখান থেকে আসতে পারে কিডনির সমস্যা। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের নিয়মিত ভাবে কিডনি পরীক্ষা করার কথা বলা হয়। বর্তমানে কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগীর সংখ্যাও কিন্তু আগের তুলনায় বেড়েছে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এসব কারণেই দিনের পর দিন জটিল হচ্ছে শারীরিক পরিস্থিতি। আগে বয়স্কদের মধ্যেই কিডনির সমস্যা বেশি হত। বর্তমানে কমবয়সীরাও ভুগছে এই সমস্যায়। ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ক্রনিক কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। প্রতি বছর কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এর কারণ কিন্তু একটাই চিকিৎসকার অভাব। কিডনির চিকিৎসাও কিন্তু বেশ ব্যায়বহুল। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করতে পারেন না। ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ অনেকখানি। সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা ভারতের সব পরিবারের থাকে না। কিডনির সমস্যা হলে এবং তা দিনের পর দিন ধরে ফেলে রাখলে সেখান থেকে একাধিক জটিলতা আসতে পারে। ক্রনিক কিডনির সমস্যায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি ভোগেন। আর সময়মত চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। কিডনির সমস্যা হলেও অনেক মহিলা প্রথম থেকে তাতে আমল দেন না। ফলে সেখান থেকে জটিলতা তৈরি হয় পরবর্তীতে।
যাঁদের জীবনযাত্রা অনিয়ন্ত্রিত তাঁদের যেমন এই সমস্যা হতে পারে তেমনই পারিবারিক ইতিহাসে কিডনির সমস্যা রয়েছে এমন মানুষও কিন্তু আক্রান্ত হতে পারেন ক্রনিক কিডনির রোগে। কিডনির সমস্যা থাকলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আসে, সেই সঙ্গে আসে হার্টের সমস্যাও।
কেন মহিলাদের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রবণতা বেশি
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এই সমস্যায় অনেক বেশি আক্রান্ত। এর প্রধান কারণ কিন্তু সচেতনতার অভাব। কোমরের ব্যথা, ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা অধিকাংশ মহিলার খুব সাধারণ সমস্যা। আর এখানেই গলদ। বেশিরভাগই এই সব উপসর্গ অবহেলা করেন। যেখান থেকে পরবর্তীতে জটিলতা বাড়ে। এছাড়াও মহিলারা অটোইমিউন ডিজিজ বা লুপাসের সমস্যায় বেশি ভোগেন। এর অর্থ হল শরীরের বিভিন্ন কোষ নিজে থেকেই অন্যান্য অঙ্গকে আক্রমণ করে। যে কারণে জয়েন্ট পেন হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ, ত্বক, কিডনি, মস্তিষ্ক, হার্ট, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণ কিন্তু এই লুপাস। এই কারণেও কিডনির সমস্যা হয়।
প্রাথমিক উপসর্গ
কিডনির সমস্যার প্রাথমিক কিছু উপসর্গ থাকে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না তা প্রকট হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই ধরা পড়ে না। ক্লান্তি, দুর্বলতা, খিদেমন্দা, পা ফোলা, চোখের চারপাশে ফোলা ভাব-এসব কিন্তু কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ। যাঁদের এই সমস্যা দু দিনের বেশি থাকে, তাঁদের কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিডনির সমস্যায় প্রথম থেকে সতর্ক না হলেই প্রকট হবে কিডনি ফেলিওয়ের সম্ভাবনা।
কীভাবে পরীক্ষা করবেন
বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির রোগ নির্ণয় করা হয়। ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয় অ্যালবুমিন প্রোটিনের পরিমাণ। এই প্রোটিন অত্যধিক পরিমাণে থাকলেই কিডনির ক্ষতি হয়। দ্বিতীয় পরীক্ষা হল ক্রিয়েটিনিনের। যদি ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে তাও কিন্তু কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
