World Pneumonia Day 2021: বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে জানুন এই রোগের উপসর্গগুলি কী কী

যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, তখন এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু যদি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল, তখন এই ব্যাকটেরিয়া আঁকড়ে ধরে শরীরকে।

World Pneumonia Day 2021: বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে জানুন এই রোগের উপসর্গগুলি কী কী
নিউমোনিয়ার উপসর্গ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 1:12 PM

নিউমোনিয়া একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুসের সংক্রমণ। নিউমোনিয়ার হলে কাশি ও কফের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা লাগার মত নানান ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক সময় অনেকেই এই সব উপসর্গগুলিকে সাধারণ ফ্লু ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সময় মতো এই নিউমোনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, পরবর্তী সময়ে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এমনকি এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। এই কারণে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালিত হয়।

নিউমোনিয়ার কারণ

নিউমোনিয়ার প্রধান কারণ হল ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। এই ব্যাকটেরিয়া নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসে যায়। যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, তখন এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু যদি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল, তখন এই ব্যাকটেরিয়া আঁকড়ে ধরে শরীরকে। তখন এই ব্যাকটেরিয়াগুলি একটি বা দুটি ফুসফুসের ওপরই প্রভাব ফেলে। কিন্তু এই রোগেরও কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা এড়িয়ে গেলেই বিপত্তি। অবস্থার অবনতি ঘটলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলি হল-

– মাত্রাতিরিক্ত জ্বর -বুকে ব্যাথা – বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া – ডায়রিয়া – শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া – ক্লান্তি এবং দুর্বলতা – কফ সহ কাশি ইত্যাদি।

যাদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি-

নিউমোনিয়ার ভাইরাসে যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। শিশু থকে বৃদ্ধ যে কোনও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষ এবং ২ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও যাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল, যাদের শ্বাসযন্ত্র বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, কিংবা যাদের কোনও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, কেমোথেরাপি চলছে, এইডসের সমস্যা রয়েছে, তাদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে

শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ১০২ বা তার বেশি জ্বর, ক্রমাগত কাশি, কফ ও শ্লেষ্মা, শ্লেষ্মা ঘন সবুজ বা হলুদ বর্ণের হলে, দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা যায়। তবে অবস্থার অবনতি ঘটলে এই রোগে মৃত্যু অবধি হতে পারে।

কী কী সাবধানতা মেনে চলতে হবে

-নিয়মিত সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। কিছু খাওয়া বা পান করার আগে অবশ্যই হাত ধোবেন।

-কাশি ও হাঁচির সময় রুমাল ব্যবহার করুন।

-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা করুন।

-নিউমোনিয়া এবং ফ্লু প্রতিরোধের জন্য বেশ কিছু ভ্যাকসিন আছে, সেগুলি গ্রহণ করে এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

-ধূমপান করবেন না, এটি আপনার ফুসফুসের ওপর গুরুত্বর প্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি! ইতিহাস ও তাত্‍পর্য কী, তা জানুন