এক সপ্তাহের লকডাউন অমরাবতীতে, নিয়ম না মানলে বাড়বে মেয়াদ

অমরাবতীর জেলাশাসক জানান, আগামী সাতদিনের জন্য অমরাবতীতে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হচ্ছে। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার (Essential Service) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে।

এক সপ্তাহের লকডাউন অমরাবতীতে, নিয়ম না মানলে বাড়বে মেয়াদ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 6:59 PM

মুম্বই: আর কন্টেনমেন্ট জ়োন (Containment Zone) নয়, এবার লকডাউন (Lockdown)-ই জারি করা হল মহারাষ্ট্রের অমরাবতী (Amravati)-তে। সোমবার বিকেল থেকে জারি করা হবে লকডাউন, এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর।

চলতি মাসের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরমধ্যে অন্যতম ছিল অমরাবতী, আকোলা ও যাভতমল। চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তারপরই যাভতমল, আকোলা ও অমরাবতীকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। যাভতমলের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অমরাবতীতেও সপ্তাহন্তে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ পুণে জেলা প্রশাসনের তরফেও স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণার পরই অমরাবতীর জেলাশাসক জানান, আগামী সাতদিনের জন্য অমরাবতীতে লকডাউন জারি করা হচ্ছে। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে। অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ছাড়া বাকি সমস্ত দোকান ও পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলেই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই সাতদিনে জেলার বাসিন্দারা নিয়মবিধি না মানলে লকডাউন আরও দীর্ঘায়িত করা হবে বলেই জানান ক্যাবিনেট মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর।

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের করোনা যুদ্ধে ভারতই সেনাপতি’, ঢালাও প্রশংসা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

ইতিমধ্যেই পুণে, যাভতমলে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা অবধি যানবাহন ও জনসাধারণের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, রাজ্যমন্ত্রী বিজয় ওয়াদেতিয়ার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

দেশজুড়ে গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষকেই “দোষী” ঠাউরেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। সম্প্রতি তিনি একটি বৈঠকেই লকডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “আপনারা নিয়মবিধি মেনে স্বাধীনভাবে ঘুরতে চান নাকি লকডাউন, সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।” করোনা সংক্রমণকে হালকা চালে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখানোর জন্যই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ঠাকরের হুঁশিয়ারিই সত্যি হল।

অন্যদিকে, এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারতে ২৪০টি স্ট্রেনের অস্তিত্ব মিলেছে। এই স্ট্রেন (Strain) আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। দেহে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেলেও নতুন স্ট্রেনে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন সাধারণ মানুষ। করোনা টিকাও সংক্রমণ রুখতে কতটা সক্ষম হবে, সেই বিষয়েও সংশয় দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: টলোমলো পুদুচেরি সরকার, আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ আরও ২ বিধায়কের