125 Rupee Coin: ১২৫ টাকার মুদ্রা প্রকাশ করলেন মোদী

আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই কয়েক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ভক্তিবেদানন্ত স্বামী প্রভুপাদের জন্মবর্ষ উপলক্ষে এই স্মারক কয়েন প্রকাশ করা হল।

125 Rupee Coin: ১২৫ টাকার মুদ্রা প্রকাশ করলেন মোদী
বুধবার কয়েন প্রকাশ্যে আনলেন মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 11:08 PM

নয়া দিল্লি: ইসকনের প্রতিষ্ঠাতার ১২৫ তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে ১২৫ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বুধবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর সেই মুদ্রা প্রকাশ করলেন তিনি। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা তথা হরেকৃষ্ণ মুভমেন্টের প্রবর্তক শ্রীলা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদের ১২৫ তম জন্মবর্ষ এটি। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই মুদ্রা প্রকাশ করেন মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজ আমরা শ্রীলা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদের জন্মবর্ষ পালন করছি। ধ্যান কিংবা ভক্তিতে মনে যে প্রশান্তি মেলে, যেন সেরকমই আনন্দ হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আজ একই ভাবে গোটা বিশ্বে প্রভূপাদের যে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আছেন, প্রত্যেকেরই একই রকম আনন্দ হচ্ছে।

মোদী এ দিন আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ব জুড়ে কয়েক’শ ইসকনের মন্দির রয়েছে। আর সেই সব মন্দিরের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় সংস্কৃতি। ইসকনই গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসের অর্থ হল উদ্যোগ আর উৎসাহ। আর মানবিকতায় বিশ্বাস।’ প্রাকৃতিক বিষর্পয়ে ইসকনের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এ দিন মনে করিয়ে দেন ২০০১-এর ভূমিকম্পের কথা। গুজরাটের কচ্ছে হয়েছিল সেই ভূমিকম্প। মোদী উল্লেখ করেন সেই সময় কী ভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইসকন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও মনে করিয়ে দেন যে, দেশে যখনও কোনও বিপর্যয় এসেছে, তখন পাশে দাঁড়িয়েছে ইসকন। ও্ডিশা বা পশ্চিমবঙ্গের সাইক্লোনের কথাও বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, শ্রীলা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভূপাদের জন্ম হয়েছিল কলকাতায়। ১৮৯৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। জন্মের সময় তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল অভয় চরণ দে। প্রাথমিকভাবে ওষুধের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। পরে ১৯৫৯ সালে বিশ্বের মানুষকে কৃষ্ণের মহিমা সম্পর্কে অবগত করতেই দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি নিউ ইয়র্কে যান ও প্রথম ইসকন সেন্টার স্থাপন করেন। সেখান থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ইসকনের প্রচার। তৈরি হয় একের পর এক মন্দির।

বিশ্বের মোট ৮৯টি ভাষায় শ্রীমদ্ভগভৎ গীতার অনুবাদ করেছে ইসকন। বেদের সংস্কৃতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে এই ইসকন। ভক্তি ও যোগের প্রচারও চালানো হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

প্রথা অনুযায়ী কয়েকদিন আগেই মায়াপুরের ইসকনে পালিত হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব। সকালে মঙ্গল আরতি, বিশ্বশান্তির জন্য যজ্ঞ, হরিনাম সংকীর্তনের মতো অনুষ্ঠান হয় সকাল থেকে। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সন্ধিক্ষণে মহা অভিষেকও অনুষ্ঠিত হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ রাখা হয়েছিল ইসকন মায়াপুরে। আরও পড়ুন: এবার হাজির ‘এমইউ’, ভ্যাকসিন নাকি ‘হজম’ করে ফেলছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টও