Bangladeshi arrest in Kolkata: পাসপোর্টের ব্যবস্থা করত মাফুজুর, কলকাতায় ধৃত ১৭ বাংলাদেশির কাছে নেই বৈধ নথি
Bangladeshi arrest in Kolkata: আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনি এলাকা থেকে গতকাল মোট ২১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের আটক করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মানব পাচারের একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এটিএস মাফুজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পায়। মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি বর্তমানে কলকাতায় রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশ এটিএস -এর একটি টিম সম্প্রতি কলকাতায় আসে ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাহায্য চায়। এরপর কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশের এটিএস যৌথভাবে তল্লাশি চালায় আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে। ধরা পড়ে মাফুজুর। এরপরে ওই ২১ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাফুজুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি অন্যতম একজন এজেন্ট, যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার মাধ্যম হিসেবে কাজ করত। এই সব লোকজন তাঁর হাত ধরেই ভারতে এসেছে। গত মাস দেড়েক ধরে আনন্দপুর এলাকায় ভাড়ায় থাকত তারা। মাফুজুর রহমানের কাজ ছিল এই দেশে ওইসব ব্যক্তিদের ভারতীয় নথিপত্র বানানো। সেই নথিপত্র দেখেই পাসপোর্ট বানানো হত, এরপর তাদের বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য পাঠানো হতো। কী ভাবে নথি বানাত তারা, সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গতকাল আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মোট ২১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের আটক করে পুলিশ। কবে, কী কারণে তারা কলকাতায় এসেছে, কেন এসেছে, এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকায় ২ দুষ্কৃতীর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া যায় দেশি বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। সিঁথির রামলীলা এলাকার ঘটনা। দুই যুবককে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তারা কাউকে এই আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল। পুরভোটের আবহে এই ঘটনা প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তার পরেই এদিন সামনে এল ভুয়ো নথি নিয়ে আটক হওয়া বাংলাদেশির খবর।
আরও পড়ুন : Bardhaman Murder: পুকুর পাড়ে মহিলার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত! দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা