বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ কিশোরী, বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণ করল বান্ধবীর ভাই সহ ৫ জন

অসুস্থ বোধ করায় তাঁর বান্ধবী নিজের খুড়তুতো ভাইকে বলে সে যেন সুরক্ষিতভাবে ওই কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। ফেরার পথেই ওই কিশোরীকে কোনও নেশা দ্রব্য খাইয়ে ওই যুবক সহ পাঁচজন মিলে ধর্ষণ (Rape) করে।

বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ কিশোরী, বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণ করল বান্ধবীর ভাই সহ ৫ জন
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 25, 2021 | 5:49 PM

কুরুক্ষেত্র: স্কুল সেরে বান্ধবীর বাড়ি গিয়েছিলেন কিশোরী, সেখানে অসুস্থ বোধ করায় সেই বান্ধবীই নিজের খুড়তুতো ভাইকে বলেছিলেন ওই কিশোরীকে বাড়ি ছেড়ে আসতে। কিন্তু তাঁর মনে যে অন্য পরিকল্পনা ছিল, তা ওই কিশোরী বা তাঁর বন্ধু আঁচ করতে পারেননি। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই অসুস্থ কিশোরীকে নেশার দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ (Rape) করল পাঁচ ব্যক্তি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানা(Haryana)-র কুরুক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।

পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটা নাগাদ স্কুলে যায় বছর ১৭-র ওই কিশোরী। প্রতিদিনের মতো স্কুল শেষে দেড়টা নাগাদ ইংরেজি ক্লাসে যাওয়ার কথা থাকলেও সেদিন এক বান্ধবীর বাড়ি যায়। সেখানে গিয়েই তাঁর মাথা ঘোরাতে শুরু করে, অসুস্থ বোধ করায় তাঁর বান্ধবী নিজের খুড়তুতো ভাইকে বলে সে যেন সুরক্ষিতভাবে ওই কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

যদিও ওই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে উমরি চকের কাছে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ইতিমধ্যেই উপস্থিত ছিল আরও চার অভিযুক্ত, এদের মধ্যে একজন আবার ওই হোটেলেরই কর্মচারী। ওই কিশোরীকে কোনও নেশা দ্রব্য খাওয়ায় তাঁরা এবং পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: নীরব মোদীর ভারত-প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র ব্রিটিশ আদালতের

কুরুক্ষেত্রের পুলিশ সুপার হিমাংশু গর্গ বলেন, “নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি দুইজনের খোঁজ চলছে। ধৃত তিনজনের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাঁকে হোমে পাঠানো হয়েছে।”

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারির সকালে নির্যাতিতার বাবা তাঁকে স্কুলে দিতে আসে। স্কুল শেষের পর দুপুর দেড়টা নাগাদ সে স্পোকেন ইংলিশ শিখতে একটি কোচিং সেন্টারে যেত এবং বেলা চারটের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসত। ঘটনার দিন সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরও ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় তাঁরা কোচিং সেন্টারে ফোন করে। তখন জানতে পারেন যে ওই কিশোরী সেদিন কোচিং সেন্টারে যাইনি। সন্ধে সাতটা নাগাদ তাঁরা বারারা চকের পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানাতে যান।

পুলিশ স্টেশনের পথেই তাঁরা দেখেন যে একটি বাইকে দুই যুবক ও এক কিশোরী আসছে। কিশোরীর পরনে স্কুলের পোশাক দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। কাছাকাছি যেতেই দেখেন যে ওই কিশোরীকে বাইকের মাঝের সিটে বসিয়ে আনছে দুই যুবক। কিশোরীর পিছনে বসা যুবক তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে। পরিবারের সকলে মিলে ওই বাইকটিকে দাঁড় করায়। ওই দুই যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। গায়ের জোরে ওই দুই যুবক পেরে না ওঠায় তাঁরা ওই কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায়। সেই সময়ও ওই কিশোরীকে নেশায় আচ্ছন্ন ছিল বলেই দাবি পরিবারের লোকের।

আরও পড়ুন: প্রশ্নে গোপনীয়তা, অনলাইন মাধ্যমে নিয়মবিধির জাল কেন্দ্রের